প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, যে আলোচনা হল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৪| আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪১
অ- অ+

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন তারা। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় আলোচনা উঠে আসে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে ডেটা নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবোটিকস ও ডাক–ব্যবস্থা আধুনিকায়নে উভয় দেশ কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যসহ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পলক বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় এ দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইতোমধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। এর সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়টি আলোচনায় স্থান পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আলোচনার মূল তিনটি উদ্দেশ্য ছিল, আমেরিকা আমাদের সফটওয়্যার ও ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। ৬০টি দেশে আমরা সফটওয়্যার রপ্তানি করি, আমেরিকায় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়। আমেরিকায় আমাদের আউটসোর্সিংয়ের ক্লায়েন্ট (গ্রাহক) অন্য দেশগুলোর তুলনায় বেশি। কীভাবে এটা আরও বাড়াতে পারি, সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসোর্স ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করার বিষয়েও কথা হয়েছে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকার তাতে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আলোচনার আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সঙ্গে আমেরিকার কীভাবে জিটুজি সহযোগিতা হতে পারে এবং আমেরিকার যে কোম্পানিগুলো আছে, বিশেষ করে অ্যামাজন, স্টারলিং, স্পেসএক্স, গুগল ও ফেসবুকের বিনিয়োগ কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি হতে পারে, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কী ধরনের সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব এবং একসাথে কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যায়, রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে কথা হয়েছে।’

জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমেরিকার প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে। গত পাঁচ বছরে এ খাতে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশে এখন ওরাকল, মাইক্রোসফটসহ বেশ কিছু আইটি কোম্পানি কাজ করছে। আরও অনেক কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আকর্ষণ করতে চাই। সর্বশেষ সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/জেবি/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
যশোরে বাজার দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত  
Celebrating Mother’s Day: A Tribute to the Strength and Love of Working Mothers
‘সীমান্তে পুশইন নিয়ে সরকার নীরব, কোথায় পাওয়ারফুল খোদা বখস: রিজভী
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির হাতে নারী-শিশুসহ আটক ১৪
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা