আলুখেতে ‘লেট ব্লাইট ও ব্লাস্ট পচা’ রোগ, দিশেহারা কৃষক

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৯

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় গত কয়েক দিনের কনকনে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা সঙ্গে শৈত্য প্রবাহের কারণে আলুখেতে ব্যাপক হারে ব্লাস্ট পচন ও লেট ব্লাইট রোগ দেখা দিয়েছে। এতে করে এই উপজেলার কৃষক চরম দুশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ফলে ওই রোগের কারণে আলুর পাতা কালো ফোসকা ও পঁচে গিয়ে মরে যাচ্ছে তরতাজা সবুজ গাছ। এ রোগ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার তাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব নয় বলে ধারণা করছেন আলু চাষিরা।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা আলুর খেতে লেট ব্লাইট বা পাতা মোড়ানো রোগাক্রান্ত আলুখেতে, সানোক্রনিল, এ্যামেষ্টার, কার্বডাইজিং স্প্রে করেছেন। সাতদিন পর স্প্রে করেছেন রিভাস নামের কীটনাশক। ১ বিঘা আলুর জমিতে সানোক্রনিল, এ্যামেষ্টার, কার্বডাইজিং ওষুধ ও সার এবং শ্রমিক দিয়ে ১ হাজার টাকা খচর করে স্প্রে করছেন। ৪ থেকে ৫ দিন স্প্রে করতে হবে। এতে অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা করে খচর বেশি হচ্ছে। তবুও যদি রোগবালাই থেকে রক্ষা করা যায় তাহলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব। তবে অধিকাংশ জমিতে পচন ধরে অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষক।

শেরপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৭শ। তবে গতবারের চেয়ে এবার বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হয়েছে।

কুসুম্বি ইউনিয়নের পোষি গ্রামের হেলাল উদ্দিন জানান, এ বছর ১১ বিঘা জমি চাষ করেছি। খুরতা গ্রামের মজনু, কেল্লা গ্রামের ওমর আলী, পানিশারা গ্রামের মকবুল হোসেন, হারেজসহ একাধিক কৃষক জানান, তারা প্রত্যেকে প্রতিবছর ৫ থেকে ৮০ বিঘা করে জমিতে আলু লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু আলুর বাড়ন্ত মুহূর্তে বৈরী আবহাওয়ার কারণে লেট ব্লাইট ও ব্লাস্ট পচন রোগে আলুর ফলন নিয়ে এবার শঙ্কিত তারা।

শেরপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জিএম মাসুদ জানান, এ ব্যাপারে কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ আলুর মড়ক লেট ব্লাইট ও ব্লাস্ট পচন রোগ দমনে কৃষকদের করণীয় শিরোনামে বিভিন্ন পরামর্শ লিখে লিফলেট আকারে তা ছাপিয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিকট বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। সেই সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে যোগাযোগও অব্যাহত রেখেছেন। কৃষি সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার জন্য কৃষকদের কৃষি বিভাগের কাছ থেকে পরামর্শ নিতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

শেরপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা আক্তার বলেন, ঠান্ডা আবহাওয়া আলু চাষের জন্য উপকারী কিন্তু একটানা ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহ এ ফসলের জন্য ক্ষতিকর। ঘন কুয়াশা থাকলে আলুক্ষেত ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়। সচেতনতার অভাবে কৃষকরা ওষুধ সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলে উপকারের চেয়ে অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হন।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/ ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :