মাদারীপুরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম, তদন্ত দাবি

মাদারীপুর জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মনাকে মারাত্মাকভাবে কুপিয়ে জখন করেছে দুবৃর্ত্তরা। এই ঘটনায় শনিবার বিকাল ৪টার দিকে তার নিজ বাড়ি জেলা সদরের দক্ষিণ থানতলী এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়।
এ সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যকরী সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান দোষীদের শান্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শহিদুল ইসলাম মনা তার ব্যক্তিগত মটরসাইলযোগে তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে আসছিলেন। এসময় জেলা জজ কোর্ট ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মাঝামাঝি আসলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুবৃর্ত্তরা মনাকে উদ্দেশে করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখন করে। পরে তার ডাক-চিৎকারে কিছু লোক এগিয়ে এসে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এতে তার পায়ে, গলায় মারাত্মকভাবে জখম হয়। এঘটনার মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় কাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের বিষয় কিছু বলা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম মনা বলেন, ‘আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে জখম করা হয়েছে। আমি কিছু লোক চিনতে পেরেছি। তবে তদন্তের জন্যে তাদের নাম বলেছি। কিন্তু মামলায় তাদের নাম দিয়েছি। আশা রাখি বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার বিচার পাবো।’
বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শহিদুল ইসলাম মনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জখনের দায়ীদের বিচারের দাবি করেছেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের ছেলে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যকারী সদস্য আসিবুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের দ্রুত বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। না হলে বৃহৎ আন্দোলন করা হবে। আর যদি সন্ত্রাসী চিহ্নিত হয়, তাহলে তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বয়কট করা হবে।’
হামলার বিষয় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে। যদি দোষীদের চিহ্নিত করা যায়, তাহলে দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।’
(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এআর)
মন্তব্য করুন