বিপিএল
ঢাকাকে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল চট্টগ্রাম

চলতি বিপিএলে নিজেদের আগের দুই ম্যাচে একটিতে জয় ও আরেক ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে প্রথম ম্যাচের পর আবারও জয় তুলে নিলো বন্দরনগরীর দলটি। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ছয় উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে।
ঢাকার দেওয়া ১৩৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৮ রানেই ২ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। তবে তানজিদ হাসান তামিমের ৪৯, নাজিবুল্লাহ জাদরানের ৩২ ও শাহাদাত হোসেনের ২২ রানে ভর করে ৬ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের ওপেনার আবিষ্কা ফার্নান্দো শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফিরে সাজঘরে। আউট হয়োর আগে করেন ৬ বলে ১২ রান। তার বিদায়ে ১৯ রানেই ওপেনিং জুটি ভাঙে চট্টগ্রামেল।
১৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম ও ইমরান উজ্জামান। তারাও ব্যর্থ হন নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় ২৮ রানে ইমরান উজ্জামানানেন বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি।
৩ বলে মাত্র ১ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইমরান উজ্জামানান। তার বিদায়ে মাত্র ২৮ রানেই ২ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
ইমরান উজ্জামানানের বিদায়ের পর শাদাদাত হোসেনকে নিয়ে জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বন্দরনগরীর দলটি। দলীয় ৮১ রানে শাহাদাত হোসেন ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি।
উসমান কাদিরের বলে ব্যকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন শাহাদাত। সেখানে দাঁড়ানো চতুরাঙ্গা ডি সিলভা ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন। যার ফলে ১৯ বলে ৩২ রান করে ফিরে যেতে হয় শাহাদাতকে।
শাহাদাত হোসেনের পর দলীয় ১০৫ রানে সাজঘরে ফিরে যান অর্ধশতকের দ্বারপ্রান্তে থাকা তানজিদ হাসান তামিম। মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতক থেকে বঞ্চিত হন তিনি। ৪০ বলে ৪৯ রান করা তামিম তাসকিন আহমেদেরে বলে সহজ এক ক্যাচ তুলে দেন ডিপ কাভারে।
১০৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক শুভাগত হোমকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন নাজিবুল্লাহ জাদরান। নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৯ বলে ৩২ ও শুভাগত হোম ১১ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে, চট্টগ্রামের টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো ঢাকা মাত্র ৩৩ রানেই হারায় ৪ উইকেট। এরপরে দলের বিপদে হাল ধরেন দানুশকা গুনাথিলাকার কনকাশন সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নামা লাসিথ ক্রুসপুল্লে ও ইরফান শুক্কুর। তবে দলীয় ১০৬ রানে লাসিথ ক্রুসপুল্লের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। তার পরে আর বেশিদূর এগোতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয় রাজধানীর দলটি।
(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন