ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে মর্টার শেল বিস্ফোরণ, ৫ স্কুল বন্ধ

বান্দরবান প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৫

নিরাপত্তার কারণে বান্দরবানের নাই্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সীমান্তে একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণে পর এই সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সোমবার সকালে নিজ কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিত নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তুমব্রুর ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছৈয়দুর রহমান হিরা জানান, রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মিয়ানমারের সামান্য ভেতরে সে দেশের দুটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার আকাশে মহড়া দিতে থাকে। ঠিক সেই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা করার জন্য ওই হেলিকপ্টারের মহড়া চলে। হঠাৎ করে হেলিকপ্টার সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি আসার ফলে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে থাকা মানুষের মনে ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, নিজের কাজে এলাকার বাইরে রয়েছেন। তবে মোবাইল ফোনে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, সোমবার সকালেও একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এতে কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশ্রিত রোহিঙ্গারা।

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা এপারে বসবাস করছি সবাই আতঙ্কে আছি, কখন কোন সময় কি হয় জানি না। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যাওয়ার জন্য স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।

গত ৮-১০ দিন থেকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে কী কারণে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে তা এখনো জানা যায়নি।

মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত বর্তমানে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। কদিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় ভারী অস্ত্র থেকে ছোড়া গুলি এবং মোটরশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে আগুনের ধোঁয়া।

এর আগে ২০২২ সালেও মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষ হয়। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা ও মর্টারশেল বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ে। অবশ্য মিয়ানমার সেনারা এই ঘটনার দায় চাপায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর। তুমব্রু সীমান্তের স্থায়ী বাসিন্দা রূপলা ধর বলেন, কিছু দিন ধরে সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে, আমরা যারা স্থায়ী বাসিন্দা আছি, সবাই খুব আতঙ্কে রয়েছি। তবে সীমান্তে বসবাসকারী অনেকেই ভয়ে নিরাপদে চলে গেছেন।

এর আগে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সারারাত গোলাগুলি হয়। তবে রবিবার গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।

গত ২৩ জানুয়ারি সকাল থেকে তুমব্রু সীমান্তের ওপারে ২ বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা থেকে গুলির খোসা এসে পড়ে এপারের কয়েকটি গ্রামে। সে সময় এ সব গ্রামের লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যান। (ঢাকাটাইমস/২৮ জানুয়ারি/কেএ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :