প্রথম ছুটির দিনে মুখর বইমেলা, টুকটুকি-হালুমদের পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিশুরা

শেখ শাকিল হোসেন, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১২ | প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৮

উদ্বোধনের পর প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পাঠক দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর অমর একুশে বইমেলা। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও এসেছে আজ মেলায়। জনপ্রিয় শিশুতোষ ধারাবাহিক সিসিমপুরের টুকটুকি, হালুম, ইকরি ও শিকু এসেছেন অমর একুশে বইমেলায়। অভিভাবকদের হাত ধরে তাদের দেখতে এল শিশুরা। বেজে উঠলো ‘চলছে গাড়ি সিসিমপুরে, চলছে গাড়ি সিসিমপুরে...’।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার দুপুরে এবারের বইমেলার প্রথম শিশুপ্রহর শুরু হয়। শিশু চত্বরে এই আনন্দঘন শিশু প্রহরের উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা।

আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাওয়াফ হক আহীল বাবা-মা এবং বোনের সঙ্গে এসেছেন শিশুপ্রহরে। আহীল ঢাকা টাইমসকে বলে, আমি এখানে সিসিমপুরের শো দেখতে এবং বিভিন্ন বই কিনতে এসেছি। গতকাল বাবা অফিস থেকে আসার পর বাবাকে বলেছিলাম আজ আমাদের বইমেলায় নিয়ে আসতে। বাবা-মা এবং বড় বোনের সাথে এসেছি। এসে অনেক ভালো লাগছে।

টুকটুকিদের দেখার অপেক্ষায় থাকা শহিদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুহা হক জানায়, এখানে যে কার্টুনটি হবে সেটির অপেক্ষা করছে সে। বলছিল, নতুন বই কেনা এবং পড়ার জন্য আমি অনেক এক্সাইটেড। সিসিমপুর দেখা হয়, ছোটবেলা থেকে দেখি। টুকটুকিকে আমার অনেক ভালো লাগে।

ঢাকা সেনানিবাস এলাকা থেকে বাচ্চাদের নিয়ে এসেছেন আমিনুল হক। তিনি পেশায় একজন ব্যাংকার। তিনি ঢাকা টাইমসে বলেন, বিশেষ করে সিসিমপুরের এ আয়োজনটির জন্যই বাচ্চা নিয়ে এসেছি। এই চরিত্রগুলোকে ওরা টিভির মধ্যে দেখে। সামনে যখন ওরা এটা দেখবে, এটা অবশ্যই ওদের উদ্বুদ্ধ করবে। ওরা কাছ থেকে দেখতে পেয়ে আরও আনন্দ পায়। বাচ্চাদের মন তো, ওরা একটু অন্যরকম হয়ে যায় এটাতে। ওরা বিভিন্ন ধরনের বই দেখে। নির্বাচন করেও রেখেছে। যাওয়ার সময় নিয়ে যাবে।

অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা বাচ্চাদের নিয়ে আসুন। তাদেরকে বই কেনা এবং পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করুন। মোবাইল গ্যাজেট থেকে আসক্তি দূর করার জন্য একটা চমৎকার একটা মাধ্যম বলে আমি মনে করি।

শিশুদের উদ্দেশ্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, শিশুদেরকে জন্মের পর থেকেই শব্দ শেখাতে হবে। বাঙালি শিশু জন্মের পর বাংলা শব্দ শিখবে, ইংরেজ শিশু ইংরেজি শব্দ শিখবে এবং আরব শিশু আরবি শব্দ শিখবে। সিসিমপুর কিন্তু কোন বিশেষ ভাষার শব্দ নয়। সারা পৃথিবীর ভাষার একটি শব্দ। সিসিম হচ্ছে একটি গুহা। এই গুহাতে যদি তোমরা ঢোকো তাহলে দেখতে পাবে, সারা পৃথিবীর জ্ঞান ভান্ডার তোমার সামনে উন্মুক্ত হবে। শিশুরাই এই গুহায় ভালোবাসে। গুহার ভেতরে যে নতুন জিনিস আছে, রহস্য আছে, সেটা তারা বের করতে চাই। এই বইমেলা সারা পৃথিবীর রহস্যের একটি গুহা বিশেষ।

এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে দেখা গেছে মেলায়। স্টল ও প্যাভিলিয়নে বই কিনতে দেখা গেছে অনেককে। মেলায় মোটটি আটটি প্রবেশ পথ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও বাংলা একাডেমি প্রান্তের গেট মুখর ছিল বেশি।স্টলে দায়িত্বরতরা জানান, গতকালের তুলনায় আজ লোক সমাগম কিছুটা বেশি। আগতদের মধ্যে পাঠকের তুলনায় দর্শনার্থীই বেশি বলে জানান তারা। সন্ধ্যার পর কেনাকাটা বাড়বে বলে আশা তাদের।

এর আগে বাংলা একাডেমি জানায়, বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন এবং শিশুকিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য ১টি স্টল থাকবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত 'শিশুপ্রহর' থাকবে। অমর একুশে উদ্যাপনের অংশ হিসেবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে।

ঢাকাটাইমস/০২ফেব্রুয়ারি/এসকে/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :