ট্র্যাফিক সিগন্যাল লাইটগুলো চালু করতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রমজান উপলক্ষে রাজধানীর যানজট নিরসনের বিষয়ে ইতোমধ্যেই পুলিশ মহা পরিদর্শক (আইজিপি) কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যানজট নিরসনে রাজধানী জুড়ে যত ট্র্যাফিক সিগন্যাল লাইট বন্ধ আছে সেগুলো চালু করতে বলেছি। সকলে যদি সঠিকভাবে ট্র্যাফিক আইন মেনে চলে, তাহলে রাজধানীর এই যানজট অনেক অংশে কমে আসবে।
এর আগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন রমজানে রাজধানীবাসিকে যানজটের ভোগান্তি থেকে স্বস্তি দিতে প্রশ্ন করেন এক সংবাদকর্মী। এই প্রশ্নের জবাবেই প্রিধানমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয় ও উচ্চ-আয়ের দেশের পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়ার কাঙ্ক্ষিত পথে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। বিশ্ব ব্যাংকের উন্নয়ন নীতি ও অংশীদারিত্ব বিষয়ক জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্সেল ভন টলেনবার্গ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের উন্নয়ন নীতি ও অংশীদারিত্ব বিষয়ক জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারিত্বের প্রেক্ষাপটে আমি মধ্যম আয়ের দেশভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবদানের আলোকে বর্তমান অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংক হতে অঙ্গীকারকৃত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্রুত ছাড়ের আহ্বান জানাই। পাশাপাশি আমি জোরপূর্বক স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে এবং এই সমস্যার বিরূপ প্রভাবে আক্রান্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রদত্ত ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থায়ন সহায়তার জন্যও তাকে ধন্যবাদ জানাই।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. আধানম গেব্রিয়েসুস আমার সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি আসন্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে আমাকে আমন্ত্রণ জানান এবং বিশ্বের বাকি দেশগুলোকে বাংলাদেশের কম্যুনিটি ক্লিনিক মডেল অনুসরণ করার বিষয়ে অনুপ্রাণিত করার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন। আলোচনাকালে আমি বর্তমান সরকারের সেকেন্ডারি ও টার্শিয়ারি স্বাস্থ্যসেবা, টিকা উৎপাদন, এন্টি-মাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ,নার্সিং ও অন্যান্য স্বাস্থ্যখাতে মানব সম্পদ উন্নয়ন ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করে এতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা আশা করি।
এ বিষয়ে মহাপরিচালক আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং আন্তর্জাতিক অভিমারি চুক্তি-এর দ্রুত সমাপনে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সমর্থন কামনা করেন। এইদিন আমার সঙ্গে আরও সাক্ষাৎ করেন মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাজ্যের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী স্যার নিক্ রেগ। তিনিও আমাকে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতের উন্নয়ন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাণিজ্যের ক্ষেত্র সুবিস্তারে সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনে আমাদের সফলতা তুলে ধরি এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ ও তথ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে মেটার সহযোগিতা আশা করি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে বিভিন্ন মেটা প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্সটাগ্রাম প্রভৃতির ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীর সুউচ্চ সংখ্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমি বাংলাদেশে মেটার একটি কার্যালয় স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছি।
(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/এসএম)