পিলখানা ট্র্যাজেডি ইতিহাসের ঘৃণীত অধ্যায়: বাংলাদেশ ন্যাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৬
অ- অ+

২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডি ইতিহাসের ঘৃণীত অধ্যায় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেছেন, সেদিন বাংলা হারিয়েছিল জাতির সূর্য সন্তানদের। বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্য রহস্য জাতিকে জানানো উচিত সরকারের। সেই সঙ্গে সেনা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা সরকারের দায়িত্ব। রবিবার পিলখানা ট্র্যাজেডির উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ন্যাপের পক্ষ থেকে বলা হয়, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পেছনে উদ্দেশ্য ছিল তা হলো আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিশ্চিহ্ন‎ করা। ষড়যন্ত্রকারীরা মেধাবী সেনা অফিসারদের হত্যা করে সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এর পেছনে যে কারণটি ছিল তা হলো আমাদের ঐক্যহীনতা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ স্বাধীন করে। কিন্তু স্বাধীনতার বিগত ৫৩ বছরে একদিকে বৈদেশিক ষড়যন্ত্র পক্ষান্তরে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিভক্তিসমূহ একটি দিনের জন্য এই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে দেয়নি।

তারা আরো বলেন, বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী সহল এই জাতিকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে দেয়। এসব অপশক্তি না থাকলে আমরা একটি একক ও শক্তিশালী জাতিসত্তা গঠন করতে পারতাম। আমাদের এই অনৈক্যের সুযোগে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে ঘিরে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রের যে ষড়যন্ত্র সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতার ফসল হচ্ছে পিলখানার নারকীয় ট্র্যাজেডি।

বাংলাদেশ ন্যাপ নেতারা বলেন, শহীদ সেনা অফিসাররা সকলেই ছিলেন জাতির সম্পদ। তাদের অভাব পূরণ করা খুবই কঠিন কাজ। বাংলার মাটিতে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের ক্ষমা নাই। যত শক্তিধর হোক না কেন তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় হতেই হবে একদিন। তারা বলেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর করার যে চক্রান্ত তারই অংশ হিসেবেই বিডিআর ট্র্যাজেডির ঘটনা। ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের এদেশের দোসররা বাংলাদেশের পতাকা-মানচিত্র ধ্বংস করতে প্রথমেই আঘাত করেছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে।

২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, একটি দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের সরকারের কাছ থেকে জাতি এই ধরনের সিদ্ধান্তই প্রত্যাশা করছে দীর্ঘ সময় যাবত। এই সরকারের কাছে কোনো ধরনের সিদ্ধান্তহীনতা প্রত্যাশা করে না জাতি। ট্র্যাজেডির ১৫ বছর পরও যখন জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয় না তখন জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়, ক্ষোভও সঞ্চিত হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/জেবি/এসএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকমুক্ত করতে ডোপ টেস্টের দাবি শিক্ষার্থীদের 
বকেয়া ৪৭৮ কোটি টাকা, ইউনাইটেড গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
প্রকল্প কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি: এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ ৩৬ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
আজ কুলাউড়ায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন জামায়াতের আমির
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা