দুই দফা দাবিতে ইবি উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের
নয়-ছয় বাদ দিন সততা ফোয়ারায় পানি দিন, প্রশাসন চোখ খুলুন সততা ফোয়ারা চালু করুন, নিরাপদ পানি নিশ্চিত করুন অব্যবস্থাপনার মুখে তালা মারুনসহ বিভিন্ন স্লোগানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সততা ফোয়ারা ও বিভিন্ন অনুষদের নিচের পানির প্ল্যান্ট পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের জানান, দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মিথুন বৈরাগী, নাসির মিয়া ও মোসাম্মৎ তানিয়া আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার কথা জানানো হয়। তবে সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ের বাহিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য কার্যালয়ে আসলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলকে দাবি নিয়ে উপাচার্য কার্যালয়ে আসতে বলা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা না করে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়। পরে বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ের স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ফোয়ারা ও পানির প্ল্যান্টগুলো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবগত করলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আগের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইবির সৌন্দর্য বর্ধক সততা ফোয়ারা ও সকলের জন্য বিশুদ্ধ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে পানির প্ল্যান্টগুলো স্থাপন করেছিল। তবে বর্তমান প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার ফলে শিক্ষার্থীরা বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সততা ফোয়ারাটিও অযত্ন অবহেলায় আছে। আমরা অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সততা ফোয়ারা ও বিভিন্ন অনুষদের নিচের পানির প্ল্যান্ট পুনরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন বলেন, 'উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তিনি গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিংয়ে থাকায় কার্যালয়ে আসতে পারেন নি। তবে তিনি অতিদ্রুত এই ফোয়ারাটি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবো যেন তারা আশ্বাস অনুযায়ী আজকের কর্মসূচি স্থগিত করে।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশনা দিয়েছি ফোয়ারাটি সংস্কার করে দ্রুত চালু করার জন্য।'
(ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)
মন্তব্য করুন