আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেন জাকের আলী অনিক

‘ছেলেটার হয়তো চেহারা একটু কালো, এই কারণে আমার মনে হয় বোর্ডও তাকে দেখে না ঠিকমতো।” জাকের আলী অনিককে নিয়ে আক্ষেপ করে বলেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এই মন্তব্যের তিন সপ্তাহের মধ্যেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন জাকের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগেই জাতীয় দলে চলে এসেছেন জাকের আলী অনিক। স্পিনার আলিস আল ইসলামের ইনজুরিতে কপাল খুলেছে তার।
জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর আজ রোববার সিলেটে করেছেন অনুশীলন। ড্রেসিংরুমে অবশ্য সতীর্থদের ভালোবাসায় হয়েছেন শিক্ত। পরে বিসিবির সঙ্গে আলাপকালে জাকের বলেন, ‘হ্যাঁ আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগতেছে। সবার একটাই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করা।’
কবে থেকে জাতীয় দলে খেলার ইচ্ছা ছিল এমন প্রশ্নে জাকের বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই জাতীয় দলে খেলার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সবসময় ইচ্ছা ছিল পরিপূর্ণ হয়ে নিজেকে পরিপূর্ণ করেই জাতীয় দলে আসা। আলহামদুলিল্লাহ বিপিএলে ভালো পারফর্মম্যান্সের কারণে সুযোগ হয়েছে। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেওয়ার। শ্রীলঙ্কা সিরিজে টার্গেট থাকবে যেরকম টিম প্ল্যান দিবে।’
এরপরেই জানালেন, নিজের ইমোশন সবসময় কন্ট্রোলে রাখতে চান জাকের, ‘অনূভুতি একদম স্বাভাবিক ছিলাম। কারণ আমি আগেও বলেছি যে ইমোশন কন্ট্রোল করে চলি সবকিছুতে। আমি একদম নরমালি ছিলাম। আসলে খুশি হওয়ার কোনো কিছু নেই, আমি সবসময় চিন্তা করি যে ভালো কিছু করতে হবে। খারাপ করলে একদম হতাশ হই না, ভালো করলে একদম খুশি হয়ে যাই না। নরমাল স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি। ইমোশন ধরে রাখার চেষ্টা করি।’
ফাইনালে না পারলেও, এবারের পুরো বিপিএলে জাকেরের ব্যাটিং ছিল প্রশংসনীয়। ১৪ ম্যাচ খেললেও ব্যাটিং পেয়েছেন ১০ ইনিংসে। টেল–এন্ডারে ব্যাট করেও তার ইনিংস দলের জন্য কার্যকরী ছিল। ১০ ইনিংসে ৯৯.৫ গড় ও ১৪১.১৩ স্ট্রাইকরেটে ১৯৯ রান করেছেন জাকের। (ঢাকাটাইমস/০৩মার্চ/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন