পাট বীজের সংকট দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: পাটমন্ত্রী

চলতি পাট মৌসুমে মানসম্মত পাট বীজের সংকট দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি পাট মৌসুমে পাট বীজের সংকট হবে না বলে জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ জুট মিলস্ করপোরেশনে (বিজিএমসি)-এর সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পাট দিবস উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে মন্ত্রী এসব বলেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত স্থায়ী কমিটির সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী,বীরপ্রতীক। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ।
সেমিনারে ‘পাট বীজ উৎপাদনের সম্ভাবনা, সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক উপস্থাপনা দেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়াও ‘পাট পচন প্রক্রিয়া, আধুনিক ক্রমোন্নয়ন’ শীর্ষক পেপার উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাজী মো.মোছাদ্দেক হোসেন।
সেমিনারে চাষযোগ্য উপযোগী জাতের অভাব, পাটবীজ আমদানীতে জটিলতা, মৌসুমে সময়মত মানসম্মত পাটবীজের স্বল্পতা ছাড়াও পাটপচনে জলাশয়ের স্বল্পতার বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়। এসকল সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উপর জোর দেন এ খাতের সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ১ম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পাট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বার্তাটি গুরুত্বসহকারে অনুধাবন করে এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
পাটখাতের সমস্যা সমাধানে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় করে কাজ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারী খাতের উদ্যোগ উৎসাহিত করার জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ৬ মার্চ ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৪’ উদযাপন করতে যাচ্ছে। এবারের জাতীয় পাট দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ, স্মার্ট পাটশিল্পের বাংলাদেশ’।
আগামী ১৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি), ঢাকায় পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/০৬মার্চ/জেএ/কেএম)

মন্তব্য করুন