গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ
বোনের পর চলে গেল শিশু তাওহিদও, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ছোট বোনের মৃত্যুর দুদিন পর মারা গেল তার ভাই তাওহিদ (৭)। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তাওহীদের মৃত্যু হয়।
এর আগে রবিবার তার ছোট বোন তায়েবার (৪) মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় মোট ১১ জনের মৃত্যু হলো।
সোমবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশুর মৃত্যু হয়।
শিশু তাওহীদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, শিশুটির শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
তাওহীদের চাচা মো. আসাদ জানান, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলায়। গাজীপুরে সজল-সুমাইয়া দম্পতির ছেলে তাওহীদ। স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়তো সে।
তাওহীদের বাবা মো. সজল গাড়ি চালক। মা সুমাইয়া আক্তার গৃহিণী। ঘটনার সময় দুই ভাই-বোন রাস্তায় খেলছিল।
সোমবার সকালে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়। তারা দুই জন সোলায়মান (১০) রাব্বি (১১)।
সোলায়মান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার শফিকুল ইসলামের ছেলে। শিশুর রাব্বি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার মো. শাহ আলমের ছেলে।
এছাড়া রবিবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল ও মোতালেব নামে দুই জনের মৃত্যু হয়। একই দিন রাতে স্ত্রী নার্গিস ও সকালে স্বামী মহিদুল (৩০) এবং আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামের আরও একজন মারা যান।
শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তায়েবা (৩) নামে দগ্ধ এক শিশু ও ভোরে মনসুর (৩২) নামে দুজনের মৃত্যু হয়। আর শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে সোলাইমান মোল্লা (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তারা সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।
(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এআর)

মন্তব্য করুন