নাইজেরিয়ায় আরও ১০০ জনকে অপহরণ
নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যে পৃথক দুটি হামলা চালিয়ে নারী ও শিশু সহ প্রায় ১০০ জনকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। চলতি মাসের মধ্যে এটি তৃতীয় গণ অপহরণের ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের বরাতে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কাদুনা পুলিশের মুখপাত্র মনসুর হাসান রবিবার রাতে কাজুরু স্টেশন গ্রামে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি নিখোঁজদের পরিসংখ্যান দিতে পারেননি। তিনি বলেন, গ্রামবাসীদের উদ্ধারে নিরাপত্তা এজেন্টদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে গ্রামের প্রধান টাঙ্কো ওয়াদা সারকিন বলেন, ৮৭ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি রয়টার্সকে ফোনে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের বাড়ি ফেরার কথা রেকর্ড করেছি যারা অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছে।’
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরা সশস্ত্র বন্দুকধারীরা মোটরসাইকেলে করে তাদের গ্রামে এসেছিল।
আরুয়া ইয়াউ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, তাকে বন্দী করা হয়েছিল কিন্তু বন্দুকধারীরা ছেড়ে দিয়েছে কারণ তার স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার কারণে হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল। তিনি স্থানীয় সরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বলে জানান তিনি।
এরআগে শনিবার রাতে কাজুরুর স্থানীয় সরকার এলাকার আরেকটি সম্প্রদায় ডোগন নোমাতে তাদের বাড়ি থেকে ১৬ জনকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা।
প্রসঙ্গত, মুক্তিপণের জন্য অপহরণ আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়া এই সাধারণ ঘটনা। যেখানে সশস্ত্র অপরাধী দলগুলো গ্রাম এলাকা, স্কুল এবং কলেজগুলোতে হামলা চালায়, বিশেষ করে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে।
এতে অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে তাদের মুক্তিপণের জন্য সঞ্চয়গুলোকে ভাঙ্গতে হয়। প্রায়শই তাদের বন্দী প্রিয়জনের মুক্তির জন্য জমি, গবাদি পশু এবং শস্যের মতো মূল্যবান সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য করে বন্দুকধারীরা৷ জাতিসংঘ বলছে, ভয়াবহ নৃশংসতার কারণে এখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
চলতিমাসেও রাজ্যের একটি স্কুলে হামলার চালিয়ে অন্তত ২৭৫ জন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীদের একটি দল।
(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/এমআর)