যুক্তরাষ্ট্রকে মানবাধিকার রক্ষায় যত্নবান হতে হবে

আলী রেজা
  প্রকাশিত : ২৩ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪
অ- অ+

মুখে মানবাধিকারের কথা বললেও সারাবিশ্বে মানবিক সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। সাড়ে সাত দশকের ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না এ বিশ্বমোড়ল দেশটি। ইউক্রেন সংকটে ন্যাটোর মাধ্যমে যুদ্ধ পরিস্থিতি টিকিয়ে রেখেছে। শুধু বর্তমান নয়, অতীত ইতিহাসও সাক্ষ্য দেয় যে, বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘটিত যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইন্ধন জুগিয়েছে। যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢেলে যুদ্ধকে প্রলম্বিত রাখতে সহায়তা করেছে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চারকণ্ঠ যুক্তরাষ্ট্র কেন এ ধরনের যুদ্ধ সমর্থন করে সে হিসেব মেলানো খুব কঠিন কাজ নয়। যুদ্ধ বিশেষজ্ঞগণের মতে, অস্ত্রবাণিজ্যের বিশ্ববাজার চাঙা রাখতেই যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ কিংবা যুদ্ধপরিস্থিতি বহাল রেখে চলেছে। এতে শুধু মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে না; অনেক সময় যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দেশে চরম মানবিক বিপর্যয়ও নেমে এসেছে। অসংখ্য নারী, শিশু ও বেসামরিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। শুধু ব্যক্তিগত সম্পদ নয়; শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও উপাসনালয়ের মতো সামাজিক সম্পদও নষ্ট হয়েছে। উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ।

চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধেই এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বেসামরিক ব্যক্তি। আহত ও উদ্বাস্তদের সংখ্যা আরো অনেক গুণ বেশি। কথিত সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হলেও ইসরাইল সেনাবাহিনী শুধু হামাস সদস্যদেরকেই টার্গেট করছে না, গাজার বেসামরিক লোকদেরকেও নির্বিচারে হত্যা করছে। মেডিকেল টিম ও ত্রাণবাহী গাড়িতে হামলা করে গাজায় চরম খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট তৈরি করছে। জাতিসংঘ বারবার যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব উত্থাপন করলেও সে প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সমর্থন পাচ্ছে না। ফলে চলছে যুদ্ধ। বিনাশ হচ্ছে জীবন ও সম্পদের। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে যতই মানবাধিকারের রক্ষাকর্তা দাবি করুক না কেন- এ কথা এখন আর কেউ বিশ্বাস করতে চায় না।

বিশে^র বিভিন্ন দেশের বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সংকট জিইয়ে রাখার অভিযোগ আছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশেই প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলছে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’। দেশটিতে বর্তমানে গণতন্ত্র পতনের ঝুঁকিতে বা হুমকিতে আছে বলে মনে করেন সে দেশেরই বেশিরভাগ মানুষ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী তার সামরিক শক্তির অপব্যবহার করছে। একতরফা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সামরিক অভিযান চালিয়ে অনেক দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে। এসব অভিযানে লক্ষ লক্ষ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। উদ্বাস্তু হয়েছে কোটি কোটি মানুষ। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ দায় কোনোমতেই অস্বীকার করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ সমর্থন, সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব, বর্ণবাদের চর্চা, দখলদারিত্ব, বণ্টনের অসমতা, সুশাসনের ঘাটতি ও জাতিগত বিভাজনের কারণে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র একটি অমানবিক রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে।

আমেরিকার প্রশাসন ও রাজনীতিবিদগণ সব সময়ে নিজেদের স্বার্থে কাজ করেন। সাধারণ মানুষের মৌলিক ও মানবিক চাহিদার প্রতি তাঁরা খেয়াল করেন না। সাধারণ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তাঁরা দিন দিন ব্যর্থতার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তারা অনেক দেশে সামরিক অভিযান চালিয়েছে। তাদের রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে দিয়েছে। মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র প্রকারান্তরে মানবাধিকারকেই ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। গেল বছর ডিসেম্বরে মানবাধিকার দিবসের পূর্বেই যুক্তরাষ্ট্র কিছু দেশ ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত বছরে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ও বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তাদের সম্পদ জব্দ করেছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আমেরিকানরাও নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি সহিংসতা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। কৃষ্ণাঙ্গ নির্যাতন এখন অতি সাধারণ ঘটনা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রেই আন্দোলন হতে দেখা গেছে। কিন্তু এ আন্দোলনের তোয়াক্কা করে না দেশটির প্রশাসন। গণমাধ্যম সূত্রে প্রায়ই জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে। বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র রাখার নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র চরম শৈথিল্য দেখাচ্ছে। ফলে বন্দুকধারীদের আক্রমণে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বে বন্দুকের মালিকানা ও বন্দুক ব্যবহার করে এলোপাতাড়ি হত্যাকাণ্ডের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে আছে। ২০২২ সালে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি আক্রমণে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। বন্দুককেন্দ্রিক সহিংসতা যুক্তরাষ্ট্রে এখন মহামারিতে পরিণত হয়েছে। সাধারণ নাগরিকরা এখন চরমভাবে মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত।

বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্র গত ১০ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বাংলাদেশের র‌্যাব ও র‌্যাবের সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অজুহাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অভিযোগের সত্যতা থাকুক কিংবা নাই থাকুক- বাংলাদেশের জন্য এটা কোনো স্বস্তিদায়ক বিষয় নয়। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় একক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রয়োজনে যেকোনো সময় যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে। এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে যুক্তি হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নিজেই সবচেয়ে বড়ো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তাই মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক ভিত্তি হারিয়ে ফেলেছে দেশটি। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়ে গাজায় হাজার হাজার নারী-শিশু ও বেসামরিক লোক হত্যায় পরোক্ষ সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যদি সামান্যতম মানবিকবোধ থাকে তবে আয়নায় নিজেদের এই নৃশংস চেহারা দেখে নিজেরাই কেঁপে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বমোড়ল আমেরিকার সে মানবিকবোধের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে দেড় লক্ষাধিক নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছিল। এর চেয়ে বড়ো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে আর ঘটেনি। মুসলিম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ‘ইসরাইল’ নামক একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারপর সাড়ে সাত দশক ধরে এই দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে জাতিগত সংকট চলছে। অনেকবার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। অসংখ্য বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে। গাজায় বর্তমান সংকট ভয়াবহরূপে দেখা দিয়েছে। রোজার মাসেও থেমে নেই হত্যাযজ্ঞ। দুঃখজনক বিষয় হলো এই হত্যাযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত আছে। ‘ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে’ বলে প্রকারান্তরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। অথচ ইচ্ছে করলেই বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতিসহ চলমান সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে পারে। তা না করে ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে আরো উসকে দিচ্ছে। ফলে দফায় দফায় হামলায় বেসামরিক লোকদের জীবন ও সম্পদের বিনাশ ঘটছে। গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ দায় যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে মনে করছেন নিরপেক্ষ মহল।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদ ঠেকানোর জন্য বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে প্রতিবিপ্লবী সংগঠন সৃষ্টি করে যুক্তরাষ্ট্র সেসব দেশে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইন্ধন জুগিয়েছিল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম কুশীলব হিসেবে চিহ্নিত এ বিশ্বমোড়ল ভিয়েতনাম যুদ্ধে ১৩ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটায়। তাদের নিজেদেরও ৬০ হাজার সেনা সদস্য প্রাণ হারায়। এত লোকের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির দায় পুরোটাই তৎকালীন মার্কিন প্রশাসনের ওপর বর্তায়। এহেন মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্বের অন্য কোনো দেশ কখনো করেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের যেখানেই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে সেখানেই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ত থেকেছে। তাদের গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআইএ’-র বিরুদ্ধে রয়েছে নানা রাজনৈতিক ও সামরিক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সংকট দেখা দিলে সেখানে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্ররোচিত করে থাকে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের ধারণা। সামরিক সাহায্যের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র একেক সময় একেক পক্ষকে সমর্থন দিয়ে চলমান যুদ্ধকে প্রলম্বিত করে থাকে। এতে তাদের নিজেদের অস্ত্রবাণিজ্যের প্রসার হলেও বিবদমান দেশগুলোতে চরম মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে। মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হয় অসংখ্য সাধারণ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের এ ভূমিকাকে এখন বিশ্ববাসী নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করেছে।

একক পরাশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যমান সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লালন করতে পারে। এক্ষেত্রে দেশটিকে প্রথম ‘সবকিছুকে একাই নিয়ন্ত্রণ করা’র মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কোন দেশ সন্ত্রাসী, কোন দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে, কোন দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘণ করছে- এসব নিজেদের মতো করে নির্ধারণ করে দিলে চলবে না। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। নিজেদের স্বার্থের পক্ষে থাকলেই গণতন্ত্রী আর স্বার্থের বিপক্ষে গেলেই সন্ত্রাসবাদী কিংবা মানবাধিকার হরণকারী- এটা কোনো নীতিনিষ্ঠ মোড়লীপনা নয়। মোড়ল হতে হলে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলতে হবে। বিশে^র দুর্বল রাষ্ট্রগুলোকে নিজেদের মতো করে চলবার অধিকার দিতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের নয়টি দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় রোজার মাসে বিশেষ ত্রাণ পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখুক- এ প্রত্যাশা সকলের। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো দ্বন্দ্ব নেই। বাংলাদেশের বৃৃহত্তম প্রতিবেশী ভারত ও চীনের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে নানা হিসাব-নিকাশ। এ হিসাব-নিকাশের মারপ্যাঁচে পড়ে গেলে বাংলাদেশের জন্য সেটা হতে পারে একটি অস্বস্তির বিষয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বাংলাদেশকে সতর্কতার সঙ্গেই পা বাড়াতে হবে। চীন ও ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। ভূ-রাজনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। এখানে কোন দেশ কতটা বিনিয়োগ করছে তার ওপরও নির্ভর করে কূটনৈতিক সম্পর্ক। কিংবা কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করবে বিনিয়োগের বিষয়টি। জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্টের সম্পর্ক সৎ ও বন্ধুত্বপূর্ণ নয়। সুশাসন, মানবাধিকার, পররাষ্ট্রনীতি- এসবের কোনো ইস্যুতে নাখোশ হলে বাংলাদেশের ওপর আরো অনেক অযৌক্তিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের তালিম দিয়ে বেড়ালেও নিজের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের মানবাধিকারকেই তোয়াক্কা করে না- ইতিহাসই তার সাক্ষী। যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার রক্ষায় যত্নবান হলে তা সবার জন্যই মঙ্গল।

আলী রেজা: কলাম লেখক ও পিএইচডি গবেষক, ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ২০০ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া গেল মুন্সীগঞ্জে, নিষ্ক্রিয় করল সিটিটিসি
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আইইউবিএটি-তে চীনা ভাষা কোর্সের উদ্বোধন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা