ইফতার ও সাহরিতে বাহারি আয়োজন ধানমন্ডির দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জে

বুফে এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভোজন পদ্ধতি। বিশেষ করে রাজধানীর ধানমন্ডি রীতিমত বুফে পাড়ায় পরিণত হয়েছে। তবে এত এত রেস্তোরাঁর ভিড়ে খাবারের মান, দাম আর পরিবেশের কারণে অন্যদের চেয়ে কিছুটা আলাদা দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জ।

ধানমন্ডি ১০/এ সাতমসজিদ রোডের ইম্পেরিয়াল আমিন আহমেদ সেন্টারের ১২ তলায় মনোরম পরিবেশ ঘেরা এই রেস্তোরাঁ। তাদের অভিনব সবুজ প্রাকৃতিক আভরণে সজ্জিত ইন্টেরিয়র নিমেষেই যে কারো নজর কাড়বে। ক্ষণিকের জন্য হলেও আপনার ভেতর জাগিয়ে তুলবে অন্যরকম সুখানুভূতি।

দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জে ৮০টির বেশি পদের জন্য ১০২৫ বা এর বেশি টাকায় দুপুরের বুফে, আর ১২১৩ বা এর বেশি টাকায় রাতের বুফেতে থাকে ৯০টির বেশি পদের খাবার। হঠাৎ দামটা অতিরিক্ত মনে হতে পারে, তবে তাদের খাবারের মান আর রেস্তোরাঁর পরিবেশ আপনাকে এতটাই মুগ্ধ করবে যে, সে তুলনায় খরচটা নিতান্তই কম মনে হতে পারে।

এছাড়া প্রতি শুক্রবার তাদের বুফের বিশেষ ছাড় থাকে মাটন কাচ্চিতে। প্রতি বুধবারে চলে র‌্যাফেল বুফে, যেদিন দুপুর বা রাতে যেকোনো ভোজে অংশ নিয়ে জিতে নেওয়া যেতে পারে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আরেকটি বুফে।

পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও সাহরিতেও বাহারি আয়োজন রেখেছে ফরেস্ট লাউঞ্জ। অন্যসব পদের খাবারের পাশাপাশি এই রেস্তোরাঁয় একইসঙ্গে নিয়মিত পাওয়া যায় ইন্ডিয়ান, চাইনিজ ও অ্যারাবিয়ান খাবার। রয়েছে লাইভ বুফে স্টেশনও।

জন্মদিন, বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও যেকোন করপোরেট ইভেন্ট আয়োজনের সুব্যবস্থাও আছে এই রেস্তোরাঁয়। একইসঙ্গে ৬০০ জনের পার্টি, বিয়ে, রিসিপন বা যেকোন প্রোগাম করতে সক্ষমতা রয়েছে এখানে। এছাড়াও কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন ভাড়ার মতো অনুষ্ঠানে কোনো ফ্লোর বুকিং চার্জ নেই। শুধু খাবারের খরচই রাখা হয়।

এ বিষয়ে রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ভোজন রসিক যে কেউ খুব সহজেই আমাদের খাবারগুলো তৃপ্তি সহকারে খাবেন। কারণ আমরা ক্রেতাকে সুন্দর পরিবেশ দেওয়া ও খাবারের মানের বিষয়ে আপস করি না। প্রায় সবগুলো সরকারি অনুমতির ১০টির বেশি লাইসেন্স করেছি।

এই কর্মকর্তা বলেন, একটা রেস্তোরাঁ উদ্বোধন হলে ছয় মাস ক্রেতারা নতুন হিসেবে বেশি সমাগম ঘটায়। এরপর চাহিদা কমে যায়। চেষ্টা করলেই ছয় মাস পরপর ডেকারেশন বদলানো সম্ভব নয়। তাই আমরা ফরেস্ট লাউন্জের সাজসজ্জা ডেকোরেশন সেভাবেই সব সিজনের উপযোগী করে তৈরি করেছি।

ইংরেজি অক্ষরে ‘দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জ’ নামে প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজ রয়েছে। এতে নিত্যনতুন আয়োজন সম্পর্কে এবং অন্যান্য গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা জানা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/এএম/কেএম)