ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে জনমনে প্রতিক্রিয়া আছে কি?

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
 | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৩

এখন রমজান মাস চলছে। আর কদিন পরেই মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল-ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। মানুষ এখন একদিকে রোজা, অন্যদিকে ঈদের প্রস্তুতি যার যার মতো করে নেওয়ার অবস্থানে আছেন। সাধারণত এই উৎসবটি পালনের জন্য যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করে থাকেন। কেনাকাটার পণ্যসমূহের মধ্যে পোশাক পরিচ্ছদ, জুতা-স্যান্ডেল, ঈদে খাওয়ার মতো নানা ধরনের মিষ্টান্ন ও খাদ্য সামগ্রী কেনাকাটা করে থাকেন। এখন বাজারের দিকে তাকালেই মানুষের ভিড় সকলেরই চোখে পড়বে। কোথায় কোন মার্কেটে কার পছন্দের কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী রয়েছে তার খোঁজ-খবর নিয়েই যে-যার মতো করে দিন এবং রাতেও কেনাকাটায় অংশ নিতে মানুষকে দেখা যাচ্ছে। গ্রামে-গঞ্জেও হাট বাজার এখন ঈদের পণ্যসামগ্রী কেনাকাটায় ক্রেতা ও বিক্রেতারা ব্যস্ত হয়ে উঠছে। অপেক্ষাকৃত বিত্তবান অনেকেই উপজেলা কিংবা জেলা শহরে গিয়ে কেনাকাটা করছেন। বিশেষ করে পরিবারের ছোটো সন্তানদের জন্য সব মা-বাবা-ই কম বেশি জামা কাপড়, জুতা স্যান্ডেল কিনছেন। নিকট আত্মীয়দের জন্যও কাপড়-চোপড়সহ নানা পণ্যসামগ্রী এই ঈদে দেওয়ার একটি রেওয়াজ দেখা যাচ্ছে। ধনীদের একটি অংশ বড়ো বড়ো শহরগুলোতে নামিদামি বাহারি পোশাক কেনাকাটা করছে। আবার অনেকে দেশের বাইরে গিয়েও পছন্দের বাজার করে আসছেন।

মোটামুটি এই ঈদের উৎসবটি শুধু নিজের জন্যই কেনাকাটা নয়, আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও দরিদ্র মানুষদের মধ্যে কাপড়-চোপড় বিলি করার জন্য কেনাকাটা করতে হয়। এছাড়া গোটা রমজানেই ইফতার সামগ্রী তৈরি এবং কেনাকাটা করার নিয়ম সারা দেশব্যাপী চোখে পড়ার মতো। শহরের উচ্চবিত্তদের অনেকেই রেস্তোরাঁয় নানা উপলক্ষ্যে ইফতার পার্টি করে থাকেন, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও তারা বাহারি ইফতার কিনে পাঠিয়ে দেন। সুতারাং গোটা রমজান মাসে একদিকে যেমন রোজা পালন করা হয় অন্যদিকে গোটা রমজান মাসেই ইফতার সামগ্রী কেনাকাটা কিংবা বাড়িতে করা একটা বড়ো ধরনের প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড়ো বড়ো শহরে দুপুরের পর থেকে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা বেশ কষ্টকর হয়। চারদিকে ইফতারির পশরা সাজিয়ে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষজনকে বেচাকেনায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। একইভাবে ফুটপাতে পোশাক পরিচ্ছদসহ নানা দ্রব্যসামগ্রী বেচাকেনারও একটা বিরাট আয়োজন বাংলাদেশে সর্বত্র লক্ষ করা যাচ্ছে। এ বছর কিছু পণ্যের দাম আগের বছরগুলোর চাইতে বেশি হওয়া সত্ত্বেও কেনাবেচায় তেমন বড়ো ধরনের কোনো ঘাটতি বা অভাবের কথা শোনা যায় না। বেসরকারি টিভিসমূহ গোটা মাসব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ইফতার তৈরির নানা রেসিপি এবং বাহারি নামের নানা ইফতার সামগ্রীর কেনাবেচার খবরাখবর প্রচার করছে, ফুটপাত এবং নামিদামি সুপার মার্কেটে দেশি এবং বিদেশি পণ্য নতুন নতুন ব্রান্ডের পোশাক পরিচ্ছদ কেমন বিক্রি হচ্ছে, দোকানিরা কতটা সন্তুষ্ট তাও প্রচার করছে।

এইসব পণ্য সামগ্রীর মধ্যে ভারতীয় নানা ব্রান্ডের পোশাক পরিচ্ছদ যেমন রয়েছে, কাঁচাবাজারেও ভারতীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। অথচ কয়েকদিন থেকেই কয়েকটি ছোটো রাজনৈতিক দল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিএনপির মুখপাত্র রিজভী আহম্মেদ নিজের গায়ে জড়ানো ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলে দিয়ে দেশবাসীকে ভারতীয় পণ্য বর্জন করার আহ্বান জানান। রিজভী সাহেবের আবেদন জানানোর পর প্রায় সপ্তাহ কেটে যাচ্ছে। কিন্তু কোথাও ভারতীয় পণ্য বর্জনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, গ্রামে-গঞ্জে কিংবা শহরের অলি-গলির দোকানপাটের কোথাও ভারতীয় পণ্য বর্জনের সামান্যতম আলোচনাও শোনা যাচ্ছে না। জনগণের মধ্যে যদি কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতো তাহলে এর প্রকাশ কোনো না কোনোভাবে ঘটতে দেখা যেত। কিন্তু সেরকম কিছু ঘটতে কেউ কি দেখেছেন? দেশে বিএনপি করেন এমন লোকের তো অভাব নেই, তারাও গ্রামে-গঞ্জে কোথাও সাড়াশব্দ করছে না। বিএনপি ঘরানার কিংবা তার চাইতেও বেশি ভারতবিরোধী মানসিকতার বেশ অনেক মানুষই আছেন, তারাও কিন্তু তেমন কোনো উচ্চবাচ্য করছেন না। করলে গণমাধ্যমে জানা যেত। তবে পত্র-পত্রিকাগুলোর প্রথম পৃষ্ঠায় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বক্তব্য পাশাপাশি স্থান পাচ্ছে। এছাড়া এবি পার্টি, ১২ দল, গণতন্ত্র মঞ্চ, ইসলামিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যের পাশে আওয়ামী লীগের এক বা দুই জন নেতার বক্তব্য স্থান পাচ্ছে। পত্রিকার প্রথম পাতার খবর ও প্রতিবেদনে বিরোধীরাই ৮০ শতাংশের বেশি জায়গায় স্থান পাচ্ছেন। বাকি বিশ শতাংশ কেবল আওয়ামী লীগের ভাগ্যে জুটছে বলে মনে হচ্ছে। এরপরও পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিরোধী অনেক নেতারই অভিযোগ শোনা গেছে। পত্রপত্রিকাগুলো নাকি সরকারের অনুগত, তাই বিরোধীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনুপস্থিত বলেও তারা দাবি করে থাকেন। পত্রপত্রিকায় ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে বিএনপি এবং অন্যান্য দলের নেতারা যা বলেন তাতো পাঠকেরা দেখছেন এবং পড়ছেনও। টিভি শ্রোতারাও শুনছেন। তারপরও ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বানে সাড়া না পড়ার কারণ খুঁজতে হবে।

বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলো গত নির্বাচন বর্জন করেছিল। তাদের ভরসা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাদের আন্দোলনের পক্ষে থাকবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একতরফা নির্বাচন হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট এবং ইউরোপীয় দেশগুলো সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবে, গঠিত সরকারের বিরুদ্ধে সাংশন জারি করবে। কিন্তু বিরোধীদের সেই সব ভরসা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের বেশ আগেই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মুখে যা বলেছিল তাতেই বিরোধীদের ধারণা হয়েছিল যে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের পক্ষেই অবস্থান নেবে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আগাগোড়াই বলা হয়েছিল যে, দেশটি বাংলাদেশের কোনো বিশেষ দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নয় তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়। বিরোধীরা নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার ডাক দিয়ে নির্বাচনটি ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল। তারা নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচনের চিত্র ও ভোটের ফলাফল কী হতো তা দেশের মানুষ এবং বিদেশিরাও দেখতে পেত কিন্তু বিরোধীদের সব কৌশলই ব্যর্থ হয়েছিল। যতই তারা দাবি করুক যে- জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়নি কিন্তু দেশের মানুষের মধ্যে যারা বিএনপি কিংবা তাদের সমমনা দলের নেতাকর্মী তারা ছাড়া জনগণের অন্য বড়ো অংশই ভোটে অংশ নিয়েছেন। বেশিরভাগ আসনেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থীরাও পরাজিত হয়েছে। ফলে নির্বাচন বর্জনকারীদের দাবি যথার্থ নয় সেটি বিদেশিরাও কমবেশি স্বীকার করে নিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের জয়ের কারণ হিসেবে ভারতকে দণ্ড-মুণ্ডু করে প্রচার চালাতে থাকে। কারণ ভারত নির্বাচনের আগে সব বড়ো শক্তিকেই বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার কথা জানিয়ে বলেছিল যে- বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সেখানে কোনো দেশ হস্তক্ষেপ করুক ভারত তা চায় না। বড়ো দেশগুলোও বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে কেউ হস্তক্ষেপ করুক সেটি যেন না ঘটে তেমন বক্তব্যও দিয়েছিল। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বড়ো রাষ্ট্রই হস্তক্ষেপ করতে আসেনি। যদিও বড়ো রাষ্টগুলো সবাই কে কোন দলকে পছন্দ করছে সেটি অনেকেরই অনুমানে কিছুটা হলেও ধরা গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বব্যবস্থায় কেবল এক দেশ নয় বহু দেশেরই অবস্থান বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ফলে কেউই আন্তর্জাতিক নিয়মের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনে কিছু করতে চায়নি, আসেওনি। এর ফলে বাংলাদেশের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন তপসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও ফলাফল ঘোষণায় কোনো বাধা পায়নি। নির্বাচনটি হস্তক্ষেপমুক্তভাবেই সম্পন্ন করা গেছে। প্রধান বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনটিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন করতে দেয়নি প্রধান দল আওয়ামী লীগ এবং অন্য ছোটো ছোটো দলগুলো। সেটি অনেকের পছন্দ হোক বা না হোক নিয়ম বহির্ভূত হয়েছে এমনটি বলা যাবে না। এতদিন বিরোধীরা যা দাবি করেছিল এখন তারা সেই জায়গা থেকে সরে নতুনভাবে দাবি করছে যে ভারত আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে বিজয়ী করে এনেছে! সে কারণেই ভারতের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ার জন্য ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। প্রথমে ডাকটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। পরে ডানপন্থি ১২ দলীয় জোট এবং গণঅধিকার পরিষদ লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে এই বক্তব্য প্রচার করতে থাকে। এরপরেই বিএনপির মুখপাত্র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী আহম্মেদ নিজের কেনা ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলে দিয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয় যে তা জানতে বাকি থাকেনি। দলের অন্যতম নেতা ডক্টর মঈন খান ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন- ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি ভারতের সাহায্য চায়।’

রিজভী আহম্মেদের ভারতীয় পণ্যবর্জনের আহ্বানের পর দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন কোনো আগ্রহ বা প্রতিক্রিয়ার খবর কোথাও দেখা যায়নি। সাধারণ মানুষও জানে যে- ভারত থেকে অনেককিছুই আমদানি করে আমাদের চাহিদা পূরণ করতে হয়। আমাদেরও অনেক পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়ে থাকে। আমাদের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর ভারতে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে থাকে। এই অভিজ্ঞতা এবং খবরাখবর দেশের মানুষ অবহিত। তাই ভারতীয় কোনো পণ্য বর্জন করলে চড়া দামেও কেনার সুযোগ নাও হতে পারে। সুতারাং ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণায় কেউ আপ্লূত হয়ে ঈদের মৌসুমেও বিশেষ ব্রান্ডের কাপড়-চোপড় কেনা থেকে তেমন বিরত থেকেছে এমন খবর জানা যায়নি। অন্যদিকে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বিএনপির পক্ষ থেকে রিজভী আহম্মেদের ভারতীয় পণ্যবর্জনের কাণ্ডতে বেশ হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্যের বড়ো অংশই ভারতের সঙ্গে স্বাধীনতার পর থেকে ঘটে আসছে। আমাদের দেশের প্রয়োজনই ভারত থেকে বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি করা হয়ে থাকে। এর সঙ্গে অর্থনৈতিক স্বার্থই কেবল সম্পর্কযুক্ত, রাজনীতি কিংবা ভারতপ্রীতি নয়। দুনিয়ার যেকোনো দেশের সঙ্গেই ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি ঘটে থাকে পারস্পারিক স্বার্থে। আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করা হয় ভারত থেকে। প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যও বাংলাদেশ ভারত থেকে তুলনামুলক সস্তা দামে এবং কম সময়ে পাওয়ার কারণে আমদানি করে থাকে। নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য ভারতের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। চীনের পরেই সবচেয়ে বেশি পণ্যসামগ্রী আমদানি করতে হয় বাংলাদেশকে ভারত থেকে। এ কথা ব্যবসায়ীগণ আগে থেকেই বলে আসছে। সুতারাং এখন ভারতীয় পণ্যবর্জনের যে ডাক বিএনপি, ১২ দল, গণঅধিকার পরিষদ এবং আরো কিছু ভারতবিরোধী রাজনৈতিক দল প্রচার করছে সেটি একেবারেই সাম্প্রদায়িক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত; পাকিস্তান আমল থেকে ভারতবিরোধী যে জিকির তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হতো- এটি তারই সর্বশেষ অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে বাংলাদেশেরই ক্ষতি হবে- ভারতের তেমন নয়। দেশের সচেতন মানুষ এটি ঠিকই বুঝতে পারছে। তারপরও বিএনপি এবং আরো কিছু দল ও গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে জনমতকে ফুঁসিয়ে তোলার জন্য ‘ভারত হটাও’ স্লোগান তুলেছে। কিন্তু এর ফলাফল মোটেও দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী: ইতিহাসবিদ, কলাম লেখক ও সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :