আলভেস ও রবিনহোর ধর্ষণ মামলা নিয়ে এবার মুখ খুলল ব্রাজিল
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের হিড়িক বয়ে যাচ্ছে। ধর্ষণের দায়ে জেল খাটতে হচ্ছে দেশটির তারকা ফুটবলার দানি আলভেজকে। এরপরেই আরও এক নেতিবাচক সংবাদ শুনতে হয় সেলেসাও ভক্তদের। ধর্ষণের অভিযোগে এবার জেলে যেতে হচ্ছে ফরোয়ার্ড রবিনহোকে।
দানি আলভেস এবং রবিনহোর ধর্ষণ মামলা নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন। রবিনহো এবং দানি আলভেসের মামলায় ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করলেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র।
ধর্ষণের দায়ে জেল খাটছেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার দানি আলভেজ। জামিনের জন্য আবেদন করেন ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার। তবে বার্সেলোনার আদালত রায় দিয়েছে যে আলভেসকে শর্তসাপেক্ষে ১ মিলিয়ন ইউরো অর্থে জামিনে জেল থেকে মুক্তি দেয়া যেতে পারে। সেই অর্থ এখনও জোগাড় করতে পারেননি আলভেস।
আলভেসের এই ঘটনার মাঝেই ধর্ষণের অভিযোগে জেলে যেতে হচ্ছে সাবেক ফরোয়ার্ড রবিনহোকে। ব্রাজিলে ৯ বছরের জন্য জেল খাটতে হবে তাকে। মূলত ২০১৩ সালে ইতালিতে এক নারীকে গণধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত রবিনহো। ২০১৭ সালে ইতালির আদালাতে রবিনহোসহ পাঁচজন ব্রাজিলিয়ান দোষী সাব্যস্ত হন।
এসব নিয়ে এত দিন নিরব ছিল ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন। নিরবতা ভেঙ্গে মুখ খুললেন দেশটির কোচ। দরিভাল বলেন, ‘জাতীয় দলের কোচ হিসেবে আমার এসব বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আছে। আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের এবং তাদের পরিবারের কথা সব সময় ভাবি। প্রতিদিন এসব ঘটনা আমাদের দেশ এবং সারা বিশ্বে ঘটে থাকে। যে ঘটনাগুলো দ্রুত সমাধান করা হয় না। কারণ ভুক্তোভোগী অনেক সময় বিচারের জন্য আবেদন করতে ভয় পান। আমি মনে করি, অপরাধীর শাস্তি হওয়া উচিত।’
দরিভাল যোগ করেন, ‘এটা খুবই জটিল পরিস্থিতি। রবিনহোকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। ও দুর্দান্ত একজন মানুষ। আমি ওর আচরণে কখনই খারাপ কিছু দেখিনি। আর যদি আলভেসের কথা বলতে হয়, ওর সঙ্গে আমার কাজ করার সুযোগ হয়নি। কিন্তু আমরা সবাই ফুটবলে ওর ইতিহাস সম্পর্কে জানি। স্বাভাবিকভাবেই এটা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। সত্যি বলতে এই অনুভূতি প্রকাশ করা আমার জন্য কঠিন।’
(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এনবিডব্লিউ)