২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:০১| আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:২০
অ- অ+

গণহত্যায় জড়িতদের প্রতি ঘৃণা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার মাসে আমাদের প্রত্যয়, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের যে প্রতিশ্রুতি সেটা আমরা বাস্তবায়ন করছি।

সোমবার রজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু রাষ্ট্র দেননি, কীভাবে এদেশ চলবে সেই পথরেখাও দেখিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর কারণেই ভারত বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে বসেনি। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য ও হারানো গৌবর ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ’৭৫ পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতে ভয় পেতেন, বিজয়ী জাতি তাদের পূর্বের কথা বলতে পারত না।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যে মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় এসেছিল, তারাও এ দেশে একাত্তরের মতোই গণহত্যা চালিয়েছিল। আমাদের সেনা অফিসারদের একের পর এক হত্যা করা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং এরপর নির্বাচনি প্রহসন, দল গঠন, দল ভাঙন। নানান ধরনের খেলা ২১টি বছর আমাদের ওপর চলেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ হয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলে, স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যাবো।

তিনি বলেন, আমাদের নীতি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। তারপরও দেশে কিছু মানুষ আছে যারা আগুন সন্ত্রাস করে, অগ্নিসন্ত্রাস না করে, তারা সঠিক পথে ফিরে আসুক সেটাই চাই আমরা।

সরকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এই বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না। প্রতি ঘরে ঘরে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। শিক্ষার হার বৃদ্ধি করেছি, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি, উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের যে প্রতিশ্রুতি সেটা বাস্তবায়নে লক্ষ্য স্থির করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার মাসে এটাই আমাদের প্রত্যয়। স্বাধীনতার মাসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা গণহত্যায় জড়িত তাদের প্রতি ঘৃণা জানাই।

ফিলিস্তিনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে এখনো গণহত্যা চলছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ আমরা জানিয়ে আসছি। সবসময় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমাদের চাই এ গণহত্যা বন্ধ হোক।

সরকারপ্রধান বলেন, আমি বিদেশে থাকতেই আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। এরপর ১৯৮১ সালে অনেক কষ্ট করে দেশে ফিরে আসি। একটাই লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। সেই কাজই আমরা করে যাচ্ছি। এখানে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। সবাই খাদ্য, চিকিৎসা পাবে, সেই ব্যবস্থা করছি।

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, একটি স্বাধীন দেশ। তিনি এজন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। স্বল্প সময় এদেশকে তিনি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি মাত্র তিন বছরের মধ্যেই দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সময়ই আসল আঘাত। সপরিবারে তাকে জীবন দিতে হলো।

ঢাকা টাইমস/২৫মার্চ/জেএ/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা: ফের অনুসন্ধানে দুদক, মোশাররফের বিরুদ্ধে অনিয়মের তথ্য উদঘাটন
যশোরে ঢালাইয়ের সময় ছাদ ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ নিহত ৩
এক ডিআইজি ও তিন এসপিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত
জুলাইকে সবার গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা