চাঁদপুরে মানব পাচার মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০২৪, ২২:০৩

মুক্তিপণের জন্য লিবিয়ায় অপহরণ হওয়া চাঁদপুরের কচুয়ার ইব্রাহিম ফকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগমের দায়ের করা মানব পাচার মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাকিব হোসেন (২৯) ও মো. মিথুন মিয়া (২৮)।

মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। রাতে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ।

এর আগে রবিবার (২৪ মার্চ) থেকে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল পর্যন্ত দুই দিন পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ পরিদর্শক এম শামীম আহমেদ এর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেনসহ একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা ও মানিকগঞ্জ জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেন।

পুলিশ জানায়, কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের শফিবাদ গ্রামের ইব্রাহিম ফকির ও প্রতিবেশী আ. হাকিমকে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা লিবিয়া নিয়ে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ পূর্বক আটক করে রেখেছে মর্মে রোজিনা বেগম চাঁদপুর মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

পিবিআই মামলাটি তদন্তকালে জানতে পারেন, এজাহার নামীয় ১ নম্বর আসামি শফিবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও ইতালি প্রবাসী খোরশেদ আলম বাদীনির স্বামী ভিকটিম ইব্রাহিম ফকির ও প্রতিবেশী আব্দুল হাকিম, ইব্রাহিম মোল্লা ও কবির হোসেনকে অধিক বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ইতালি নেওয়ার কথা বলে অবৈধ পথে লিবিয়া নেন। সেখানে খোরশেদ আলমের জামাতা গ্রেপ্তার ২ নম্বর আসামি রাকিব হোসেনের সহায়তায় একটি ভবনের ফ্ল্যাটে আটক করে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমদেরকে লিবিয়ার অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহরণ পূর্বক অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রাখেন। অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা বিবাদীদের মাধ্যমে ভিকটিমদেরকে মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবী করে। অন্যথায় ভিকটিমদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিতে থাকে। পরে ভিকটিমদের পরিবার বিবাদীদের দেওয়া ব্যাংক হিসাবে সাড়ে ৫ লাখ টাকা প্রেরণ করে।

অপহরণকারীরা ভিকটিম ইব্রাহিম মোল্লা ও কবির হোসেনকে মুক্তি দিলেও ভিকটিম ইব্রাহিম ফকিরকে অবশিষ্ট টাকার জন্য মুক্তি না দিয়ে আটক করে রাখে। একপর্যায়ে ভিকটিম ইব্রাহিম ফকির গত ১৮ জানুয়ারি অপহরণকারীদের হাতে আটক অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।

এই ঘটনার পর আদালতের নির্দেশে কচুয়া থানায় মামলা রুজু হলে মামলাটি পিবিআই গ্রহণ পূর্বক তদন্তভার এসআই মো. ফারুক হোসেনের ওপর হাওলা করে।

সবশেষে পিবিআই চাঁদপুর পুলিশ পরিদর্শক এম শামীম আহমেদের নেতৃত্বে ২৪ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা ও মানিকগঞ্জ জেলা থেকে রাকিব ও মিথুনকে গ্রেপ্তার করেন।

(ঢাকা টাইমস/২৬মার্চ/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :