রাজশাহীতে যুবককে আটকে রেখে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ২

রাজশাহী মহানগরীতে মানবিক সহায়তা চেয়ে এক যুবককে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবিসহ মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক নারী ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে মতিহার থানা পুলিশ। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, মহানগরীর মতিহার থানার খোজাপুরের খাদেমুল ইসলামে মেয়ে জেসিমন আকতার (২৬) ও বোয়ালিয়া থানার রাণীনগর বাবর আলী সড়কের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে রবিন (২৫)।
পুলিশ জানায়, রাজশাহীর দূর্গাপুর থানার ঝালুকা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে এক মাস পূর্বে আসামি জেসমিনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর হতেই প্রায় তাদের মধ্যে কথা হতো। কথোপকথনের এক পর্যায়ে জেসমিন মোবাইল ফোনে ঐ যুবককে বলে তার বাড়িতে কোনো খাবার নাই। তাই কিছু টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করে। এ কথা শুনে ভুক্তভোগী ঐ যুবক সরল বিশ্বাসে মহানগরীর মতিহার থানাধীন কাজলা এলাকায় এসে জেসমিনের সঙ্গে দেখা করে। জেসমিন পরিকল্পিতভাবে ফুসলিয়ে ঐ যুবককে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।
এদিকে, ঘরে আগে থেকেই আসামি রবিন উপস্থিত ছিল। সেখানে ঐ যুবককে তারা জোরপূর্বক আটকিয়ে রেখে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। এ সময় ভুক্তভোগী তাদের চাঁদা দিতে না চাইলে, তারা ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫ হাজার দুইশত টাকা কেড়ে নেয়। এরপর ভুক্তভোগী যুবক সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে মতিহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরএমপির মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসূদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুলিশের একটি টিম আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে
রবিবার ভোরে আসামি রবিনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি রবিনের দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামি জেসমিন আক্তারকেও সকালে তালাইমারী মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আসামি জেসমিনের কাছে থেকে ভুক্তভোগীর নিকট থেকে হাতিয়ে নেওয়া পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে ২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
বিকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন