বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় হামলা, দুই মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ আসামি ৪৫

বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, একটি মামলায় মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুরুজ্জামানসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নুরুজ্জামান ও তার সহযোগী নাজমুলের বিরুদ্ধে আলাদা একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দুটি করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার আড়িয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাত ১০টায় গ্রেপ্তার আসামিকে ছিনিয়ে নিতে মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ও তার বাহিনী শাজাহানপুর থানায় প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়।
খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম থানায় এলে নুরুজ্জামান ও তার বাহিনী সিঁড়িতে বসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সেসময় পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে থানা থেকে বের হয়ে যায় তারা। কিছুক্ষণ পরে নুরুজ্জামান লোকজন নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণের চেষ্টা করে। এ সময় ৯ জনকে আটক করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে নুরুর বাড়ি থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল এবং নুরুর ম্যানেজার নাজমুলের বাড়ি থেকে ৮ রাউন্ড গুলিসহ আরও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
এদিকে, রবিবার বিকালে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, আসামি নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, জমি দখল, সরকারি কাজে বাধা ও মাদক আইনে অন্তত ৮-১০টি মামলা রয়েছে। এর আগে সরকারি টেন্ডার চুরির ঘটনায় মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বরখাস্ত হয়েছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/এমএইচ/পিএস)

মন্তব্য করুন