ইরানের হাতে রাশিয়ার এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০২ | প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের সাম্প্রতিক হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, রাশিয়ার কাছ থেকে এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ের চুক্তি করেছে ইরান। এতে দেশটির সামরিক সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে, যা ইসরায়েলি নিরাপত্তার জন্য একটি বিশাল হুমকি।

মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া ইরানকে এসইউ-৩৫ সরবরাহ করার জন্য গোপনে চুক্তি করেছে, যা রাশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী ফাইটার-বোমারু বিমান হিসেবে পরিচিত।

এই চুক্তি ১৯৭৯ সালের পূর্বে পুনর্নির্মিত মার্কিন এবং সোভিয়েত যুগের বিমানগুলো নিয়ে গঠিত ইরানি বিমান বাহিনীর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড।

ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, তেহরান ন্যূনতম ২৪টি এসইউ-৩৫ ক্রয়ের একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে এই যুদ্ধবিমান কেনার আলোচনা চলছিল।

তবে এখনো পর্যন্ত এই যুদ্ধবিমানগুলো ইরান হাতে পেয়েছে কি না তার প্রকাশ্য প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছেন চুক্তির সঙ্গে পরিচিত মার্কিন এবং মধ্যপ্রাচ্যের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে রাশিয়ার উন্নত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অর্জনে ইরানের আগ্রহের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছর ইরানি প্রতিনিধিদল একটি রাশিয়ান প্রতিরক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছিল যেখানে তারা এস-৪০০ সহ বিভিন্ন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উৎপাদন পরীক্ষা করেছিল।

রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ মূলত কৌশলগত যুদ্ধবিমানসহ বিভিন্ন যেকোনো বিমান শনাক্ত এবং ধ্বংস করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত, যা ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরক্ষার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে।

যদিও ইরান এখনো এস-৪০০ পেয়েছে কি না তা অপ্রকাশিত রয়ে গেছে, তবে মার্কিন এবং ইসরায়েলি সূত্রগুলো এই অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুরক্ষিত করার জন্য ইরানের প্রচেষ্টা সম্পর্কে গত বছর থেকে সতর্ক করে আসছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের পারস্পরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে ইরান থেকে হাজার হাজার ড্রোন কেনার পাশাপাশি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। যার মধ্যে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম রয়েছে, বিশেষ করে ইউক্রেনে তার কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে তেহরান ইতিমধ্যেই রাশিয়ান এস-৩০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যবহারকারী। ২০০৭ সালে তেহরানকে এস-৩০০ সরবরাহের চুক্তি করেছিল মস্কো। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলো চাপে এ অস্ত্রগুলো সরবরাহ করেনি রাশিয়া।

অবশেষে ২০১৬ সালে রাশিয়া স্ব-আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, ইরানকে এস-৩০০ সরবরাহের অনুমতি দেয়।

সূত্র: ইউরোএশিয়ান টাইমস

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

কলম্বিয়ার সেনাবাহিনীর লাখ লাখ বুলেট, মিসাইল চুরি 

যৌন নিপীড়নের ৩ হাজার ভিডিও ফাঁস: কে এই প্রাজ্জ্বল রেভান্না?

কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৯

ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ

ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাফাহতে আক্রমণ চালাবে ইসরায়েল

গাদ্দার বলেছিলেন মমতা, দেরিতে হলেও পাল্টা দিলেন মিঠুন

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতিতে বড় সুবিধাভোগী উত্তর-পূর্ব ভারত: জয়শঙ্কর

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউর দেশগুলো 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ৫ ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :