বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন

কর ব্যবস্থা সংস্কার করলে ১৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৯

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের কর ও মূল্য উচ্চ হারে বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে টাঙ্গাইল জেলার বিড়ি শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘টাঙ্গাইল জেলার বিড়ি শ্রমিকবৃন্দ’ আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের পূর্বে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের কর ও মূল্য উচ্চ হারে বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তারা বলেন, বিদ্যমান কর ব্যবস্থা সংস্কার করলে প্রায় ১৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে এবং প্রায় ১০ লাখ তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ১১ লাখ জনগোষ্ঠীর তামাক ব্যবহারজনিত অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।

অন্যান্য স্তরের তুলনায় নিম্ন স্তরে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে স্বল্প আয়ের ধূমপায়ীকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করবে এবং উচ্চ স্তরগুলোতে সিগারেটের দাম বাড়লে ধূমপায়ীদের সস্তা ব্রান্ড বেছে নেয়ার আগ্রহ কমবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত সুনির্দিষ্ট কর প্রবর্তনের মাধ্যমে কর পদ্ধতির সংস্কার (যা বিশ্বের অধিকাংশ দেশে প্রচলিত রয়েছে) সিগারেট করকাঠামোর কার্যকারিতাকে আরও শক্তিশালী করবে।

টাঙ্গাইল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, “তামাকজাত পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রতিনিয়তই আমরা নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা- যেমন শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, মানসিক অবসাদ ইত্যাদির সম্মুখীন হই। এই প্রক্রিয়ায় আমরা নিতান্তই জীবিকার তাগিদে যুক্ত হয়েছি। তবে আমরা চাই তামাক পণ্যের ওপর উচ্চ কর আরোপ করা হোক এবং মূল্য বাড়ানো হোক। পাশাপাশি আমাদের (বিড়ি শ্রমিকদের) বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার সুযোগ দেওয়া হোক।”

তিনি আরও বলেন, “তরুণদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে কম দামি বিড়ি ও সিগারেটের কর-মূল্য ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে, যাতে এগুলো আর সুলভ না থাকে।”

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে টাঙ্গাইল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ জয়মনি বেগম বলেন, “যেহেতু বারবার কর বৃদ্ধি করেও নিম্ন স্তরের সিগারেট ও বিড়ির দাম সুলভ রয়ে যাচ্ছে তাই নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকরী কর আরোপ করা, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক পণ্যের দাম বাড়ানো যাতে তা জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।”

মানববন্ধনে বিড়ি শ্রমিকরা কার্যকর হারে কর বৃদ্ধির দাবি জানান, যাতে নিম্নস্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের নূন্যতম মূল্য ৬০ টাকা, মধ্যম স্তরে ৮০ টাকা উচ্চ স্তরে ১৩০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১৭০ টাকা করা হয়।

মানববন্ধনে সার্বিক সহযোগিতা করে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুওর (ডরপ) এবং ডরপ যুব ফোরাম। এসময় বিড়ি শ্রমিকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কর বৃদ্ধির দাবিতে আরও বক্তব্য রাখেন ডরপের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর রুবিনা ইসলাম। এছাড়া অর্ধশতাধিক বিড়ি শ্রমিক মানবব্ন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/এমআই/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :