জি সেভেনের বৈঠক
ইরানে হামলায় অংশ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মধ্যে ইতালির ক্যাপ্রিয় দ্বীপে পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন জি সেভেন জোটের বৈঠকে উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সাত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি। তবে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি মার্কিন এই শীর্ষ কর্মকর্তা। খবর আল জাজিরা।
শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, জাপান ও যুক্তরাজ্য; সাত দেশের জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বার্ষিক বৈঠকের ফাঁকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিয়ে সাইডলাইনে তারা আরেকটি বৈঠক করেন।
বৈঠকে অংশ নেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া, ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি, কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি।
সংবাদ সম্মেলনে তাজানি বলেন, আমরা সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানাই। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা না বাড়াতে জি সেভেন কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন— ইসরায়েল শেষ মুহূর্তে ইরানে হামলার তথ্য জানিয়েছে। তবে এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি।
এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। শুধু এটুকু বলবো যে, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় অংশ নেয়নি।’
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। প্রতিক্রিয়ায় গত শনিবার গভীর রাতে ইসলামিক বিপ্লব গার্ড কর্পস এবং অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়।
এরপর থেকেই ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর পরিবর্তে ইসরায়েলকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এমনকি ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইহুদিবাদী দেশটির সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
বিপরীতে দেশর অভ্যন্তরে যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভায় ইরানে পাল্টা হামলার জন্য চাপের মুখে পড়ে নেতানিয়াহু। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার ভোরে ইরানে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/এসআইএস)