ববির মেডিকেলে  চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

ববি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫১| আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩০
অ- অ+

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত ডাক্তারের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। অফিস সময়েও ডাক্তারের দেখা মিলছে না তাদের। এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন বুধবার বেলা ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, অফিস খোলা, রুমে চলছে ফ্যান, লাইট এসি। কিন্তু ডাক্তারের চেয়ার ফাঁকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সকাল সাড়ে ১০টায় ডাক্তার বের হয়ে গেছেন। আর ডাক্তার না থাকায় দশ জনের অধিক শিক্ষার্থী সেবা নিতে এসে ফিরে গেছেন। আরও আটজনের মতো শিক্ষার্থী সেবা নেওয়ার জন্য মেডিকেলে অপেক্ষা করছেন।

শিক্ষর্থীরা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘কীভাবে একটা মেডিকেল সেন্টার দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ডাক্তার বিহীন থাকতে পারে।

তবে দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর সাড়ে ১২টায় দেখা মিলে মেডিকেলের দায়িত্বরত ডা. মো. তানজিম হোসেনের।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা আজকে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে তাদের বিভিন্ন দাবির কথা জানাতে যান। ডা. তানজিমও অফিস ফেলে রেখে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দাবি তাদের চাহিদার কথা জানাতে উপাচার্য দপ্তরে গিয়েছিলেন।

এদিকে মেডিকেল সেন্টারের তিনজন ডাক্তারের মধ্যে দুইজনই আছেন ছুটিতে। আর ডা. মো. তানজিম হোসেন দায়িত্বে থেকেও ছিলেন না অফিসে। ফলে তীব্র গরমে নানা সমস্যায় শিক্ষার্থীরা ডাক্তার দেখাতে আসলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়েছে।

সেবা নিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরমান তামিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস চলাকালীন সময় মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তার থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেখানে ডাক্তার যদি তার ব্যক্তিগত কাজে বাইরে থাকে আর আমাদের এই তীব্র গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় সেটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য আমার জানা নেই। এতদিন জানতাম মেডিকেল সেন্টারে প্রয়োজনীয় ঔষধ পাওয়া যায় না। এখন দেখছি ডাক্তারও পাওয়া যায় না। এমনই যদি হয় তাহলে মেডিকেল সেন্টারের প্রয়োজনটা কোথায়?’

এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সেবা না পেয়ে ফিরে যাওয়া এক ছাত্রী বলেন, ‘অসুস্থ হয়ে মেডিকেল সেন্টারে এসে ডাক্তার না পেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ফিরে যাচ্ছি। কর্তৃপক্ষের কাছে এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিৎসক . মো. তানজিম বলেন, আমিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ৫০ জনের মতো কর্মকর্তা উপাচার্যের দপ্তরে আমাদের কিছু দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে ভাবছিলাম ১৫-২০ মিনিটে আসতে পারব, কিন্তু আসতে বেশি দেরি হয়ে গেছে। এমনভাবে মেডিকেল ফেলে রেখে বাইরে থাকা দায়িত্বে অবহেলার মধ্য পড়ে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আসলে আমার দায়িত্বে অবহেলা হয়েছে, তবে ভবিষ্যতে এমন আর হবে না।

ব্যাপারে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক . মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম-সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ
তাপদাহে শরীর ঠান্ডা রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যেসব সবজি
ভারতে বড় পাল্টা হামলা শুরু পাকিস্তানের, তিন বিমান ঘাঁটি ও ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম ধ্বংস
সাতক্ষীরার জনগণের সাথে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যৎ থাকবো
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা