ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিদেরকে নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে আলোচনা করা উচিত: ভিপি নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৭

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিদেরকে নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে আলোচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শনিবার বিকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবি অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মৃতিচারণ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তব্যে মন্তব্য করেন তিনি।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুর বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিদেরকে নিয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবে আলোচনা করা উচিত। তার মতো ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষ আমি আমার ৩২ বছর বয়সে দেখিনি৷ তিনি অসহায় মানুষ, ভুক্তভোগীর পাশে দাড়িয়েছেন সবসময়। দেশের যেকোনো জায়গায় যখন প্রাকৃতিক সমস্যা হতো তখন তিনি মানুষকে সাহায্য করার জন্য ছুটে গিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে সবসময় সাহায্য করেছেন। তিনি সবসময় বলতেন, আমি তোমাদের মধ্যে ভবিষ্যত দেখি। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ওষুধ নীতি করার কারণে বাংলাদেশে ওষুধ শিল্প বিকশিত হয়েছে উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ওষুধ নীতি করার কারণে বাংলাদেশে ওষুধ শিল্প বিকশিত হয়েছে। এই ওষুধ নীতি করার আগে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার রকমের ওষুধ আমদানি করা হতো। ওষুধ নীতির ফলে এখন ৯৭-৯৮ শতাংশ ঔষধ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ থেকে ওষুধ এখন বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এই ওষুধনীতি করতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমআই) সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ১৯৮২ সালে ওষুধ নীতি করার কারণে আজকে আমরা ৪২ বছর পর এটার সুফল পাচ্ছি। কিন্তু এই ঔষধ নীতি করতে গিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অপমানিত হয়েছেন।

শুধুশুধু চিপ হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করা হচ্ছে উল্লেখ করে নুর বলেছেন, আজকে দেশে অতিরিক্ত গরম পড়ছে। তীব্র খরা চলছে। কর্তৃপক্ষ বলছে এক বছরে গাছ লাগিয়ে সব ঠিক করে ফেলবেন। তাহলে এত বছর আপনারা কী করেছেন? আমাদের দেশের তরুণরা হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করছে। তিনি (হিট অফিসার) দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র এক বছর হয়েছে। এই একবছরে তিনি কী করবেন? এগুলো ঠিক করতে হলে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে। শুধুশুধু হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াকে উল্লেখ করে নুর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে এখন সাংবাদিকদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাটপাররা দেশের টাকা বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে, রিজার্ভ ফাঁকা করে ফেলছে, কিন্তু সাংবাদিকরা যাতে কোনো নিউজ করতে না পারে সেজন্য তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পুরো বাংলাদেশে চসে বেড়াতেন। তার সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি একজন সংবেদনশীল ব্যক্তি ছিলেন। তরুণদেরকে তিনি খুব ভালোবাসতেন।তিনি গণমানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলতেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনিই গণতন্ত্র মঞ্চের সূচনা করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমার শুধু বন্ধু ছিলেন না; তিনি আমার গুরুও ছিলেন। তার মতো এত অসাধারণ ব্যক্তিত্ব আমার চোখে আর পড়েনি। তার সাথে শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা ভাসানী, জিয়াউর রহমানসহ সকলের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। তার মধ্যে সাহসিকতা ছিল। তিনি একজন খাটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি সাধারণের মধ্যে অসাধারণ ছিলেন। দেশে বন্যা হোক, ঝড় হোক, পলিটিকাল ক্রাইসিস হোক সবকিছুর মধ্যে তিনি মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার আমাদের অনুপ্রেরণা ছিলেন। তিনি সবসময় তারুণ্যের মধ্যে ছিলেন। তিনি তারুণ্যের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি মোদি সরকার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। সবাই যখন আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তখন একজন ব্যক্তি আমাদেরকে সাপোর্ট করেছিলেন, সেই ব্যক্তি হলো ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি গণমানুষের জন্য কাজ করে গেছেন৷ তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব যার সাথে কারো তুলনা হয়না।

এসময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে বারিশ চৌধুরী বলেন, আমার বাবা একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি কখনোই চাইতেন না যে সাধারণ মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাক।

তিনি সবসময় মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তিনি প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেন।

পেশাজীবি অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণ দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বাবলু বিশ্বাস, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/এমআই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

মেডিকেল বোর্ডে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন খালেদা জিয়া 

বিশিষ্ট রাজনীতিক ব্যারিস্টার সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ সালেহউদ্দিনের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৪ মে

নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি

স্বাধীনতার পর আ. লীগ দেশে বিভাজন সৃষ্টি করেছে: সালাম

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও জনগণ এখনো পরাধীন: গয়েশ্বর

ভারতের কারণেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে: মান্না

ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ  

মা দিবস উপলক্ষে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার লাগালেন রিজভী

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক 

ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :