টাঙ্গাইলে বেড়েছে ভোটাধিকার প্রয়োগের হার
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সারাদেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের হার কমলেও টাঙ্গাইলে বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনারের তথ্য মতে সারাদেশে ভোট দিয়েছেন ৩৬.১ শতাংশ মানুষ। কিন্তু টাঙ্গাইলে এর হার প্রায় ১৭.৪৮ শতাংশ বেশি। টানা কয়েক বছর ধরে ভোটের মাঠ ছিল ঠান্ডা। ভোট নিয়ে ভোটারদের মাঝে ছিল না তেমন কোনো উৎসাহ।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ীতে পাল্টে দিয়েছে গত কয়েক বছরের ভোট কেন্দ্রের চিত্র। দলীয় প্রতীক না থাকায় বেড়েছে ভোটারদের উপস্থিতি। দলীয় প্রতীক না থাকায় সাধারণ ভোটাররাও কেন্দ্রে এসেছিল ভোট দিতে। ফলে ভোটাধিকার প্রয়োগের হারও বেড়েছে। মধুপুর উপজেলায় ভোট প্রয়োগ করেছে ৫২.২ শতাংশ এবং ধনবাড়ীতে ভোট প্রয়োগ করেছে ৫৪.৯৬ শতাংশ ভোটার।
তবে ওইদিন (৮ মে) ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পর শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি কমে গেল বাড়তে থাকে ভোটার উপস্থিতি।
এদিকে ভোটকে কেন্দ্র করে উভয় উপজেলায় বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন
প্রথম ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী। ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ। মধুপুর উপজেলাতে আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী ইয়াকুব আলী পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৩২৮ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৮৭ ভোট ।
এদিকে ধনবাড়ী উপজেলায় বিজয়ী প্রার্থী ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এবং সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই হারুনার রশীদ হীরা পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৯৯ ভোট।
বুধবার রাত ১২ টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে মধুপুর এবং ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করতে ৫ প্লাটুন বিজিবিসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান, জেলায় তিনটি উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গোপালপুর উপজেলায় একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করায় ওই উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ফলে দুই উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত ছিল।
(ঢাকাটাইমস/০৯মে/প্রতিনিধি/পিএস)