নিবন্ধন ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা, হাসপাতাল মালিকের জরিমানা
নিবন্ধন ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে মা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার মালিকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের (দিনাজপুর রোড) পৌরসভা মোড়ের মা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদারত পরিচালনা করেন সৈয়দপুর উপজেলা সহকার কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম। এ সময় নীলফামারী সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. চন্দন রায়, সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. আলতাফ হোসেন সরকার উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের পৌরসভা মোড়ে মা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য নীলফামারী সিভিল সার্জন দপ্তরে নিবন্ধনের আবেদন করা হয়। এরপর প্রতিষ্ঠানটির মালিক শুধুমাত্র কাগজ কলমে কিছু সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে সেটি চালু করেন। নীলফামারী সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে সেটির কোনো রকম নিবন্ধন না মিললেও সেখানে ডেলিভারি রোগী ভর্তি করে সিজারসহ সকল প্রকার অপারেশন করা হচ্ছিল।
গত ৩ মে শহরের বিমানবন্দর এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী মুক্তা আক্তারকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে একজন গাইনি চিকিৎসক এনে প্রসূতি মুক্তা আক্তারের সিজার করা হয়। কিন্তু সিজারের পর পরই তার শারীরিক অবস্থান অবনতি ঘটলে তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রংপুরে যাওয়ার পথেই মুক্তা আক্তারের মৃত্যু হয়।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে হাসপাতালটিতে চরম অব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রসূতি মুক্তা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী মা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ফয়সাল আহমেদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ, অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মা হাসপাতালের পরিচালক ফয়সাল সরকার পিন্টু বলেন, হাসপাতাল রোগীর চিকিৎসার জায়গা। এখানে রোগী ভালো হবে এবং মারাও যাবে। এটাই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু আমার হাসপাতাল নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
(ঢাকাটাইমস/০৯মে/প্রতিনিধি/পিএস)