১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও জনগণ এখনো পরাধীন: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ মে ২০২৪, ১৫:৩২| আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ১৫:৪১
অ- অ+

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এ দেশের জনগণ এখনো পরাধীন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতি ভিনদেশি আগ্রাসন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ জনগণ নয়, পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে রাজনীতি করে। ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পণ্য। এই সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। সঙ্গে বিদেশি পণ্যও বর্জন করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র কখনো আসবে, কখনো যাবে। গণতন্ত্র চলে গেলে লড়াই করতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু আগ্রাসন বিরোধী লড়াই করা কঠিন।’

দেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থার কথা উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবেন বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ব্যাংকের যে করুণ চিত্র। কিছুদিন পরে কর্মীদের বেতন দেওয়ার টাকা থাকবে না। চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে তাদেরকে বেতন দিতে হবে। সুতরাং যেখানে মানুষের টাকা জমা থাকে, সেই ব্যাংক পাড়ার অবস্থা যদি এমন হয়, তাহলে গোটা দেশের অর্থনীতি কেমন!’

এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে কি শেখ হাসিনা যাবে না? যাবে, যেতেই হবে। ভারত তাকে রাখতে পারবে না।’

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের আগে শুনেছি আমেরিকা কঠিন পদক্ষেপ নেবে। দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আমি বলি, কেউ আপনার দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেবে না। আপনাদের নিজেদেরই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দেশে আমরা ভারতের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাবো না। আমরা জনগণের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাবো।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের পতনের পথ কী হবে, সেটা বলতে পারি না। তবে এটা বলতে পারি, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারের পতন চায়। তাই একদিন না একদিন এই সরকারের পতন হবে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসবে।’

গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহবায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মুঞ্জুসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।

(ঢাকাটাইমস/৯মে/এমআই/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই: তথ্য উপদেষ্টা
পাকিস্তান সফরে সরকারের সবুজ সংকেত পেল টাইগাররা
চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসতে হবে: ১২ দলীয় জোট
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সুখবর দিলেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা