হাতকড়া খুলে পুলিশ হেফাজত থেকে পালালো হত্যা মামলার আসামি

শরীয়তপুরে হাতকড়া খুলে আদালত চত্বরে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছে বাবু ফকির নামে হত্যা মামলার এক আসামি।

শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের সামনে থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায় ওই আসামি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পালিয়ে যাওয়া ওই আসামির খোঁজ মেলেনি।

বাবু ফকির শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়া এলাকার মিয়া চাঁন ফকিরের ছেলে।

শনিবার দুপুরে সদরের পালং মডেল থানার হাজত খানা থেকে তাকে আদালতে নেয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।

আদালত সূত্র জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ওই আসামিকে প্রিজনভ্যানে করে পালং মডেল থানা থেকে অন্য আসামিদের সঙ্গে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট -১ আদালতের সামনে আনা হয়। এসময় আসামিকে বুঝে নেয় কোর্ট পুলিশ। এরপর এজলাসের সামনে পুলিশের সদস্যরা আসামি বাবু ফকিরকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কৌশলে হাতকড়া খুলে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যান তিনি। দুপুর থেকে আদালত চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরকীয়ার জেরে গত বুধবার রাতে মোহাম্মদ আলী মাদবরকে তার স্ত্রী মুন্নী বেগমের সহায়তায় হত্যা করে মামুন চৌকিদার ও তার দুই সহযোগী। এর পরদিন বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ আলীর মরদেহ সদর উপজেলার সুজন দোয়াল এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার নিহতের ভাই কেরামত মাদবর পালং মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার আসামি বাবু ফকিরকে গ্রেপ্তার করে পালং মডেল থানা পুলিশ।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, ১৬৪ জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আজ দুপুর আড়াইটার দিকে পালং মডেল থানার হাজতখানা থেকে আসামি বাবু ফকিরকে শরীয়তপুর আদালতে নেওয়া হয়। জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল বাবু ফকির। তখন কৌশলে তিনি পালিয়ে যান। পুলিশ ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ শুরু করেছে। দ্রুতই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা হচ্ছে। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি তাকে অচিরেই গ্রেপ্তার করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)