রংপুরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যের কারাদণ্ড

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে রংপুরের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মজিবুর রহমান।

সোমবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন তিনি।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গ্রুপ প্রধান রংপুর নগরীর কেরানীপাড়া এলাকার জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ আল আনসার, মোবারক আলম ও শাহ আলম। এর মধ্যে জাহিদকে সাড়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ছয় হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড, মোবারক ও শাহ আলমের প্রত্যেককে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রংপুরের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল আমিন তালুকদার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৪মে রাতে র‌্যাব-১৩ এর সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে রংপুর নগরীর কেরানীপাড়ার আব্দুল্লাহর ছেলে জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ আল আনসারের বাড়িতে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কয়েকজন সদস্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জড়ো হয়েছে।

সংবাদ পাওয়ার পর গভীর রাতে র‌্যাব-১৩ রংপুর সদর দপ্তরের সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় জাহিদ আটক হলেও তার অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। অভিযানের সময় র‌্যাব সদস্যরা জাহিদের বাড়িতে থাকা বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত গান পাউডার, মোটরসাইকেলের বল, বিয়ারিং, পুরাতন ক্যাপাসিটর, কচটেপ, ইলেক্ট্রিক তার, ব্যাটারি, মোবাইল সেট জব্দ করে। সেই সঙ্গে জাহিদের মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া বোমা তৈরির উপকরণ, সংগঠনের পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা সংক্রান্ত নানা তথ্যাবলি পায় র‌্যাব। এ ঘটনায় র‌্যাব জাহিদসহ তার সহযোগীদের আসামি করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পলাতক আসামি মোবারক আলম ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২০মে/প্রতিনিধি/পিএস)