বিদ্যুৎ খেকো সরকারকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে: এবি পার্টি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২২ মে ২০২৪, ১৯:৪৮ | প্রকাশিত : ২২ মে ২০২৪, ১৯:০৭

বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি।

দলের নেতারা বলেছেন, কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে কোনো রকম বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বছরের পর বছর ধরে দলীয় সিন্ডিকেটকে অর্থায়ন করে যাচ্ছে সরকার। এমনকি আমদানি চুক্তি করেও যেখানে কোনো বিদ্যুৎ না পেয়েও সরকার আদানি গ্রুপকে টাকা দিয়ে যাচ্ছে। আর বিদ্যুৎ খাতের এই সমস্ত অর্থ প্রদান করা হচ্ছে ডলারে, যার বেশির ভাগ ডলারই পাচার হয়ে গেছে বিদেশে। বিদ্যুৎ খাতের এই সমস্ত দুর্নীতি দেশের পুরো অর্থ ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের টাকা লুট করে দিনের পর দিন নাগরিকদের লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় দুর্বিষহ জীবনযাপনে বাধ্য করেছে সরকার। বিদ্যুৎ খেকো এই সরকারকে এর জন্য করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

বছরে ৪ বার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণকে নির্মম শোষণের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভে এই হুঁশিয়ারি দেন এবি পার্টির নেতারা।

এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হকের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের ট্যাক্সের টাকায় এই লুটেরা সরকারের নেতা-পাতি নেতারা মৌজ মাস্তি করে বেড়াচ্ছে। অথচ দেশের মানুষ খাবার কিনতে পারছে না। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবন এই সরকার অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এই সরকারের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী আজ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, পিওন থেকে শুরু করে সচিব, মন্ত্রীরা পর্যন্ত জনগণের ঘাম ঝরানো টাকা লুট করে খাচ্ছে। এই অন্যায় চলতে পারে না। এবি পার্টি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য, মানুষকে এই রক্তচোষা সরকারের হাত থেকে রক্ষার জন্য আন্দোলন করে যাবে ইনশাআল্লাহ।

তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার বলে দেশ নাকি বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারা নাকি চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত উৎপাদন করছে। ঘরে ঘরে নাকি উনি বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। এতই যদি বিদ্যুৎ থাকে তাহলে আজ অটোরিকশা কেন বন্ধ করা হচ্ছে, চালকদের কেন পুলিশ দিয়ে পেটানো হচ্ছে। এই দুর্নীতিবাজ সরকার জনগণের কাছ থেকে ত্রিশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের দাম আদায় করে ১৪ হাজার মেগাওয়াট জনগণকে সাপ্লাই দিয়ে বাকি বিদ্যুতের দাম ডলারে পরিশোধ করে জনগণকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। তারা লুটপাট করে ব্যাংকগুলোকে আজ শূন্য করে ফেলা হয়েছে। জনগণ এখন ব্যাংকে গিয়ে নিজের গচ্ছিত টাকা তুলতে পারছে না। আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে বিভিন্ন বাহিনীর লোকদের, আমলাদের দুর্নীতি করার অবাধ সুযোগ করে দিয়েছে। এক আইজিপি চুরি করে একটা জেলার মালিক বনে গিয়ে আমেরিকার স্যাংশনের আওতায় ছিল, এখন আবার এক সাবেক জেনারেলকে আমেরিকা চুরির দায়ে স্যাংশন দিয়েছে। এই চোরদের বদৌলতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে আছে। এরা শুধু গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ায়নি, এয়ারলাইনসগুলোর বিল বাকি রাখার ফলশ্রুতিতে এখন এয়ারের টিকিটের দাম এখন ভারতের চেয়ে তিন গুণ দাঁড়িয়েছে। তিনি অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন; আমরা আগেও বলেছি গণতান্ত্রিক শক্তিকে নির্মূল করলে অগণতান্ত্রিক চরমপন্থি শক্তি হবে এই সরকারের প্রতিপক্ষ। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি বিরোধী দলের আন্দোলন ছাড়াই সরকার ভেতর থেকে ভেঙে পড়ছে। ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে, মানুষ তার জমা টাকা তুলতে পারছে না। আমেরিকা-ভারত-চীন এই তিন পরাশক্তির সাথে সরকারের গোপন সখ্যের চিড় ধরতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎ খাতে সরকার যে নজিরবিহীন চুরি-ডাকাতি করেছে তার চক্রে এখন সে নিজেই নাকাল হতে বসেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনগণের টাকা লুট করে দিনের পর দিন নাগরিকদের লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় দুর্বিষহ জীবনযাপনে বাধ্য করা বিদ্যুৎ খেকো এই সরকারকে এর জন্য করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

বিক্ষোভে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, যুগ্ম সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, যুবপার্টি মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুলতানা রাজিয়া, মশিউর রহমান মিলু, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, রুনা হোসাইন, এনামুল হক, মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুর রব জামিল, সাবের চৌধুরী, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএমএইচ আরিফ, পল্টন থানা সদস্যসচিব আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা রনিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

ঢাকাটাইমস/২২মে/জেবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :