চায়ের বিলের ১৭ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে হত্যা

বাকিতে চা খাওয়ায় যুবক মাহমুদুল হকের কাছে ১৭ টাকা পাওনা ছিল দোকানির। সেই টাকা পরিশোধ না করায় মাহমুদুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সোহাগ ও সাইফুল নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার নাম জিয়াবুল হক জিয়া। বর্তমানে জিয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছদাহা ইউনিয়নের মিঠার দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত মাহমুদুল ও আহত জিয়াবুল ছদাহা ইউনিয়নের বাসিন্দা বদি আলমের ছেলে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, নিহত মাহমুদুল হক আওয়ামী লীগ কর্মী। তাকে পেটে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাহমুদুল নৌকা প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন। ওই নির্বাচনের পর থেকেই তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল একটি পক্ষ। সম্প্রতি ওই ইউনিয়নে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর এই হুমকি আরও বেড়ে যায়। সর্বশেষ তিন দিন আগেও প্রাণনাশের হুমকি পান মাহমুদুল।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার জানিয়েছেন, দোকানে চা খাওয়ার মাত্র ১৭ টাকা পাওনা নিয়ে চায়ের দোকানির ছেলের সঙ্গে নিহত যুবক মাহমুদুল হকের সোমবার হাতাহাতি হয়েছিল। এর জের ধরে আজকে দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত মাহমুদুল হক মারা গেছেন।' তবে রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি-না তিনি জানাতে পারেননি।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ এনাম বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মঙ্গলবার দুপুরে মিঠার দোকানে আমার ভাইকে ছুরিকাঘাত করে সোহাগ ও সাইফুল। গত কয়েকদিন ধরে তারা আমার ভাইকে মারধর করার চেষ্টা করে আসছিল। ঘটনা এত বড় হবে আমাদের ধারণা ছিল না। আজ (মঙ্গলবার) ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় অভিযুক্তরা তাদের মোটরসাইকেল রেখে গেছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, সাতকানিয়া থেকে আহত দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে মাহমুদুল হক নামে একজনকে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। আরেকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে ওসি প্রিটন সরকার বলেন, দোকানে চা খাওয়ার মাত্র ১৭ টাকা পাওনা নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবক মাহমুদুলকে হত্যা করা হয়েছে। তবে বিষয়টি আমরা বিকাল পাঁচটার পরে জানতে পারি। ততক্ষণে অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। আমরা তাদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।
(ঢাকাটাইমস/২৮মে/এসএস/কেএম)

মন্তব্য করুন