আনার হত্যার তদন্তে নেপাল সীমান্তে ভারতীয় সিআইডি

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সিয়ামকে ধরতে ভারত-নেপাল সীমান্তের নানা এলাকায় ভারতীয় সিআইডির বিশেষ তদন্তকারী দল খোঁজখবর করছে। তদন্তকারীদের একটি দল নেপালের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রেখে চলেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। শুক্রবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
তদন্তকারীরা বলছেন, এর আগে ভারতের নানা মামলার আসামিরা নেপাল সীমান্ত পার হয়ে কাঁকরভিটা হয়ে কাঠমান্ডু চলে গেছে বা বিহার থেকে নেপালের বীরগঞ্জের দিকে ঢুকেছে। এমনকি আজীম হত্যার মূল অভিযুক্ত শাহিনও সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে নেপাল হয়েই আমেরিকায় চলে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশও সিয়ামকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে। দুপক্ষই চেষ্টা করায় ওই প্রক্রিয়া কিছুটা ধাক্কা খাচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বৃহস্পতিবার কলকাতা ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের বলেছেন, “বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে নেপালে চিঠি পাঠিয়ে সিয়ামের অবস্থান বিষয়ে তাদের জানিয়েছেন।”
খুব শিগগিরই নেপাল থেকে ভালো খবর আসবে বলে আশা করছেন তিনি।
সিআইডি সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহিনের অন্যতম প্রধান সহযোগী সিয়াম, কসাই জিহাদকে নিয়ে কয়েক মাস ধরে চিনার পার্কে শাহিনের ফ্ল্যাটেই ছিল। হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার বিভিন্ন ধাপে সিয়ামের কার্যকর ভূমিকা ছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।
আনার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শাহিন, সিয়াম, মুস্তাফিজুর, ফয়জ়লের নামে ইতিমধ্যে ভারতীয় পুলিশ ‘লুকআউট নোটিস’ জারি করেছে উল্লেখ করে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা বিদেশে পালিয়েছে আশঙ্কা করে ইন্টারপোলের ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
আনার হত্যার তদন্তে কলকাতা সিআইডি একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-ও গড়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন একজন আইজি। মোট ১২ জনের তদন্তকারী দলে সিআইডির দুজন ডিআইজি এবং একজন পুলিশ সুপারও রয়েছেন। সিটের পক্ষে নিউ টাউনের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তেরা যে গাড়ি ব্যবহার করেছিল, তার চালকদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে নিউ টাউনের আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মাংসপিণ্ড বা দেহাংশ উদ্ধার হলেও কসাই দিয়ে আলাদা করা দেহের হাড় বা মাথা উদ্ধার হয়নি। সংসদ সদস্যের পোশাক ও জুতারও খোঁজ মেলেনি। এ সবের খোঁজে ভাঙড়ে বাগজোলা খালে তল্লাশি চলে।
সিআইডির আশা, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই মাংস বা দেহাংশ নিয়ে প্রাথমিক ফরেনসিক রিপোর্ট চলে আসবে। এর পরেই ডিএনএ নমুনা মেলানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
(ঢাকাটাইমস/৩১মে/এফএ)

মন্তব্য করুন