গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে: দুদু

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী জনতা দলের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের দেশ আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। গণতন্ত্র আমাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। লড়াইটা আমাদেরই করতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে যে লড়াইটা করছি তা ঐক্যবদ্ধভাবে চালিয়ে গেলে আমি নিশ্চিত এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ আসে পৃথিবীকে এগিয়ে নেয়ার জন্য, সমৃদ্ধ করার জন্য। তেমনি জিয়াউর রহমান এসেছিলেন। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই করেননি। রণাঙ্গনের যুদ্ধ করেছেন। উনাকে মহানায়ক, মহাপুরুষ বললে কম হবে। শহীদ জিয়াউর রহমান নিরহংকার মানুষ ছিলেন। তিনি কখনো কারো বিরুদ্ধে কটূক্তি করেননি। আজ যারা শাসক আছে তারা যেভাবে তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করে, যে ভাষায় সমালোচনা করে এটা দুঃখজনক।
দুদু বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান যেখানে গণতন্ত্র রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। সেখানে শহীদ জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে বিকশিত করেছিলেন। আওয়ামী লীগ যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিল সেখানে তিনি সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ফিরিয়ে এনেছেন। শহীদ জিয়াউর রহমান দুর্ভিক্ষকে এ দেশ থেকে নির্বাসিত করেছেন। এই দেশটাকে তিনি সম্মানিত করেছেন সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমান যখনই এদেশের মাটিতে পা দেবেন তখনই এ দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ শুধু দূরই হবে না নিশ্চিহ্ন হবে। তিনি ফ্যাসিবাদকে কবরস্থ করার জন্য আসবেন। তিনি তৈরি হয়ে আছেন। যেকোনো মুহূর্তে আসতে পারেন।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি শিক্ষার অগ্রদূত, তিনি কথা দিয়েছিলেন ক্ষমতায় এলে পাঁচ হাজার টাকা কৃষকদের সুদ, ঋণ মওকুফ করবেন, তিনি করেছিলেন। তিনি সারের দাম কমিয়েছিলেন। দেশকে রক্ষা করেছিলেন। আর বর্তমান যারা ক্ষমতায় আছে তারা দেশের সর্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে পারছেন না। ভাবা যায় বার্মা আমাদের ওপর আক্রমণ করে!
কৃষকদলের সাবেক এ আহবায়ক বলেন, এ সরকার আর বেশিদিন ক্ষমতায় নাই। সরকার নিজেই তার কার্যক্রমে প্রমাণ করেছে। তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতে গিয়েছিলেন। তিস্তার পানি আনতে পারতেন সীমান্তে হত্যার কথা বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি বলেন নাই। তিনি ভুলে গেছেন। তিনি আসলে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। গণতন্ত্র আমাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। লড়াইটা আমাদেরই করতে হবে। আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে যে লড়াইটা করছি ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে তাহলে আমার বিশ্বাস, আমি নিশ্চিত এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
জনতা দলের সভাপতি রায়হানুল ইসলাম রাজু সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/এমআই/ইএস)

মন্তব্য করুন