নোয়াখালীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূ ফারজানা আক্তারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে৷ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী জহিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার সকালে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে ৭ নম্বর ওয়ার্ড চর কলমি গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফারজানা আক্তার ওই গ্রামের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী ও সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামের বশির উল্যাহর মেয়ে।
নিহতের বাবা অভিযোগ করে বলেন, গত ৫-৬ বছর আগে চর কলমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সাথে ফারজানাকে বিয়ে দেন৷ জহির স্টিল আলমারির ব্যবসা করে৷ এর আগেও ব্যবসার সূত্রে একাধিক মহিলার সঙ্গে জহিরের পরকীয়ার ঘটনা ঘটে৷ তা পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টাও করি আমরা৷
বশির উল্যাহ আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মেয়ে ফারজানা বলেছেন জহিরের মোবাইলে একটি মেয়ের সাথে যৌথ ছবি দেখে সে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়৷ পরে বশির উল্যাহ ও তার ছেলে খবির উদ্দিন এসে স্বামী-স্ত্রীকে দুজনকে মিলিয়ে দেন৷
নিহত ফারাজনার বড় ভাই খবির উদ্দিন বলেন, জহিরের একাধিক পরকীয়ার ঘটনা তারা সমাধান করেছেন৷ গতকালও তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছেন৷ কিন্তু তার বোন তাদেরকে জানানোর কারণে জহির বৃহস্পতিবার রাতে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে৷ এমনকি তার বোনের মৃত্যুর খবরও তাদেরকে দেয়া হয়নি৷ পাশের বাড়ির জয়নাল মিয়া মৃত্যুর ২ ঘণ্টা পর খবর দিলে তারা এসে ফারজানাকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পেয়েছেন৷
অভিযুক্ত জহিরের বাবা সিরাজুল ইসলাম তার ছেলে ও পুত্রবধূর দীর্ঘ দিনের ঝগড়ার কথা স্বীকার করে জানান, তার প্রথম স্ত্রী মৃত্যুর কারণে তার ছেলেরা তার থেকে পৃথকভাবে বসবাস করেছেন৷ রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় জহির তার ঘরে চিৎকার দিতে থাকলে তারা গিয়ে এবং ফারজানাকে ঘরে সিলিংয়ের সাথে ঝুলে থাকতে দেখেন৷ পরে তারা ঝুলানো থেকে নামানোর পর লোকজনকে খবর দিলে জহির দ্রুত পালিয়ে যায়৷
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুস সুলতান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকা টাইমস/১৪জুন/প্রতিনিধি/এসএ)

মন্তব্য করুন