টাইগারদের সুপার এইটের লড়াই শুরু কাল, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া

২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরের পর দ্বিতীয়বারের মতো সুপার এইটে খেলবে বাংলাদেশ। সেরা আটের লড়াইয়ে টিম টাইগার্সের সামনে প্রথম চ্যালেঞ্জ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শের অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। দলটি বর্তমান ওয়ানডে ও টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার লড়াই দিয়ে শুরু হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশের সুপার এইট।
শুক্রবার (২১ জুন) অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলেছে। যে কারণে উইকেট তাদের বেশ চেনা হয়ে গেছে। অ্যান্টিগায় বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সাকিব-রিশাদদের বিপক্ষে মিচেল মার্শরা বেশি ম্যাচ না খেললেও স্পিন আক্রমণ সামলানোর দক্ষতা দুবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আছে বলে মনে করেন টিম ডেভিড।
বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে স্পিনারদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন পেসাররা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশ দলের হয়ে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে সাতটি উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার খেলার একেবারেই অভিজ্ঞতা নেই। তবে টিম ডেভিড জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলবেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে টিম ডেভিড বলেছেন, 'আমি মনে করি এটাই বিশ্বকাপের প্রকৃতি। তাই না? আপনি প্রতিটি দলের বিপক্ষে একবার খেলতে পারবেন। আপনি যদি ফাইনালে যান তাহলে আপনি একটি দলকে দুবার পেতে পারেন। তাই সবার বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলতে পারবেন না। আপনি ওদের নিয়ে বেশি ভাবার সুযোগ পাবেন না। আমার মনে হয় না আমাদের দলের কেউ তার (রিশাদের) বিপক্ষে খেলেছি। আমরা ওর ওপর চড়াও হবো।'
এদিকে প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে এমন মন্তব্য করে টাইগার কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে বলেন, এখন আমরা উপভোগ করতে চাই। ছেলেদের স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ দেবো। তার মানে এই নয় যে, মাঠে গিয়ে যা খুশি তাই করার লাইসেন্স দেওয়া হবে। সবার নির্দিষ্ট ভূমিকা আছে, তা পালন করার ক্ষেত্রেই দেওয়া হবে স্বাধীনতা।
টাইগার কোচের দুশ্চিন্তার কারণ, টপ অর্ডারের রান না পাওয়া। অধিনায়কসহ তিন টপ অর্ডার ব্যাটারই প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহে বলেন, কেবল শান্ত নয়, বেশিরভাগ দলের টপ অর্ডারই এই টুর্নামেন্টে সংগ্রাম করছে। কারণ, এখানকার পিচ নতুন বলের জন্য কিছুটা কঠিন। তবে শান্ত যখন রান করবে তখন সে ম্যাচ উইনার হবে বলেও মন্তব্য করেন হাতুরু।
টি-টোয়েন্টিতে এর আগে দশবার দেখা হয়েছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার। সেখানে অজিরা এগিয়ে আছে ৬ জয় নিয়ে। আর টাইগারদের জয় চারবার।
একই মাঠে ভারতের বিপক্ষে ২২ তারিখ রাত সাড়ে আটটায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই ম্যাচ খেলতে হবে শান্তদের। ২৫ জুন প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি হবে সেন্ট ভিনসেন্টে। ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে। এ মাঠেই গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচ নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ।
প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে উঠবে দুটি দল। প্রথম সেমিফাইনাল হবে আগামী ২৭ জুন ত্রিনিদাদে, বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল গায়ানায় একই দিন—রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। ভারত সেমিফাইনালে গেলে তারা দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে। বিশ্বকাপ ফাইনাল ২৯ জুন, বার্বাডোজে। ফাইনাল শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।
(ঢাকাটাইমস/২০ জুন/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন