গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ‘সাদিক অ্যাগ্রো’র মূল অংশ, আজই খাল খনন শুরু

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্র খাল দখল করে গড়ে তোলা পশু খামার সাদিক অ্যাগ্রোর মূল অংশ ও খামারের পাশের একটি রিকশা গ্যারেজ উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। উচ্ছেদকৃত অংশে আজই খাল খনন কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তর সিটির অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোতাকাব্বীর আহমেদ। অভিযান শেষে সংবাদমাধ্যমে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিট থেকে ১টা পর্যন্ত চলে উচ্ছেদ অভিযান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, রামচন্দ্রপুর খালের দুই ধারে যারা অবৈধ দখলদার ছিল তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান। খালের জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি করপোরেশন থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগেও এখান থেকে উত্তর সিটির মেয়র ট্রাকস্ট্যান্ড সরিয়েছেন, বহুতল ভবন ভেঙেছেন। এটা আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ।
তিনি আরও বলেন, আজকের অভিযানে রামচন্দ্রপুর খালের তীর দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সবাইকে আইন মেনে ব্যবসা করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান নয়। আমাদের অভিযান অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে। সাদেক অ্যাগ্রোর মালিককে ঈদের আগেও আমরা নোটিশ দিয়েছি। অবৈধ স্থাপনা থাকলে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আমরা ঈদের আগে উচ্ছেদ অভিযান করিনি, কারণ এর ফলে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতো। আমরা এমনটা চাইনি বলে উচ্ছেদে যাইনি। কিন্তু সেই নোটিশের কোনো ব্যবস্থা নেননি ইমরান।
জমির মালিকের অভিযোগ তিনি কোনো নোটিশ পাননি। তাহলে সাদিক অ্যাগ্রো ভাড়াটিয়া হিসেবে নোটিশ কীভাবে পায়—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, খালের একটা নীতিমালা আছে। খালের প্রবাহিকার ৩০ ফিটের ভেতরে কোনো স্থাপনা থাকতে পারবে না এই নীতিমালা রয়েছে। জমির মালিক কাগজ দেখিয়েছেন ৪ শতাংশের। কিন্তু দখল করেছেন এক বিঘা। আর আমরা উচ্ছেদ করেছি অবৈধ স্থাপনা, জমির মালিককে না। খালের ভেতরের যে অংশ আছে সেটা আমরা উচ্ছেদ করেছি।
উত্তর সিটি করপোরেশনের এই কর্মকর্তা বলেন, অভিযানে একজন জমির মালিক এসেছিল। সাদেক অ্যাগ্রোর মালিক বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি। আর সাদেক অ্যাগ্রোকে গত ১৮ তারিখ নোটিশ করা হয়েছে যেন খালে বর্জ্য না ফেলে। কিন্তু তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। আমরা খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করছি। আজই খাল পরিষ্কার করে নতুন করে খনন কার্যক্রম শুরু করব।
এদিকে অভিযানের খবরে বুধবার রাত থেকেই এই খামারে থাকা গরু ও ছাগলগুলো সরিয়ে ফেলেন সাদিক অ্যাগ্রোর কর্মচারীরা। এদিন সকাল থেকে অ্যাগ্রোর আশপাশে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেনকে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি ১৫ লাখ টাকার ছাগল বিক্রির ভিডিও প্রকাশের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে খামারটি।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এলএম/ইএস)

মন্তব্য করুন