সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, নিম্নাঞ্চলে বাড়ছে পানি

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। নদ নদীর পানি বাড়তে থাকায় নিম্নাঞ্চলের বসত বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে জেলার শহরগামী যানবাহন চলাচল।
সোমবার সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানরান, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি হয়েছে ১৭০ মিলিমিটার। তেব মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হওয়ায় ধীর গতিতে বাড়ছে পানি।
তিনি আরও জানান, জেলার ছাতক উপজেলার সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমানার ২৩ সেন্টিমিটার ও তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, টানা বৃষ্টিপাত হবে। এতে করে নদ নদীর পানি বাড়বে, কোনো কোনো এলাকায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে নিচু এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ভারত থেকে যাদুকাটা নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেছে তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক, জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ার খলা-কৈয়ারকান্দা সড়কের ১০০মিটার। এছাড়া তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় ও শক্তিয়ার খলায় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলার শহরে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার চলাচলকারীরা। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাঘমারা থেকে তাহিরপুরের আনোয়ারপুর পর্যন্ত নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিলন তালুকদার জানান, আমাদের ইউনিয়নের দক্ষিণকুন,সীমানাসহ নদীর তীরবর্তী গ্রামের ভিতর দিয়ে যাদুকাটা নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে বসত বাড়িতে। পানি আর একটু বাড়লে নিচু এলাকার বাড়ি ঘরে উঠে যাবে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়বে হাজার হাজার শ্রমিক।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, জেলায় বন্যা মোকাবিলায় আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/০১জুলাই/পিএস)

মন্তব্য করুন