বান্দরবানে ভূমিধসের শঙ্কা, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ
দেশের বিভিন্ন স্থানের মত গেল কয়েকদিন ধরে বান্দরবানে অব্যাহত রয়েছে ভারী বৃষ্টি। ফলে জেলার বিভিন্নস্থানে পাহাড়ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে অব্যাহত বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়েছে বান্দরবানের সাধারণ মানুষ। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। ঘরবন্দির মতো দিন পার করছেন পাহাড়ি এ জনপদের বাসিন্দারা। ফলে স্থবিরতা বিরাজ করছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে সাংগু ও মাতামহুরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরগুলোতে পানি প্রবেশ করার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বান্দরবান জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ( সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ) বান্দরবানে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রবল বৃষ্টি আর বন্যার ঝুঁকি চিন্তা করে বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৭টি উপজেলায় ২১৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাধারণ জনগণকে এই মুহূর্তে সতর্ক থাকার পাশাপাশি নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো.সামসুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে পাহাড়ধসের সম্ভাবনা থাকায় আমরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে আসতে মাইকিং করছি। ইতোমধ্যে আমাদের ৯টি ওয়ার্ডের পুরুষ ও মহিলা কাউন্সিলর দের নিয়ে সভা করেছি। আমরা আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। একই সঙ্গে পৌরবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দীন বলেন, টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তা মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতোমধ্যে জেলার ৭টি উপজেলা, দুটি পৌরসভা এবং ৩৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সচেতনো বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা নিচ্ছি। দুর্যোগ মোকাবিলায় ২১৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি।
(ঢাকাটাইমস/০১জুলাই/পিএস)