একদফা দাবিতে খুবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গল্লামাড়ী মোড় হয়ে সাচিবুনিয়া বিশ্বরোড মোড়ে (ঢাকা-খুলনা) এসে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। সেখানে অবস্থান করে পরে রূপসা ব্রিজ (খানজাহান আলী সেতু) অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় খুলনা-ঢাকা রুটে।
বুধবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে কোটা সংস্কারের একদফা বাস্তবায়নে নগরীর সড়কপথ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ‘ব্লকেড ব্লকেড, বাংলা ব্লকেড’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শুরুতে চারদফা দাবিতে আন্দোলন করলেও বর্তমানে একদফা দাবি বাস্তবায়নে অনড় শিক্ষার্থীরা। দাবিটি হলো— সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
এদিন বেলা ১১টায় সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আগামী চার সপ্তাহ পর বিষয়টি পরবর্তী শুনানি করার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এই রায়ের পরে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কোটার বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
তারই অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মেধাবীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। কোটা বৈষম্যের কারণে মেধাবীদের জন্য সব রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আমরা মেধাবী দিয়ে পরিচালিত একটি স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চাই।’
আরেক শিক্ষার্থী আজাদ মিয়া বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমাদের দাবি আদায়ে এই অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের অবরোধ কার্যক্রম সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলবে। দাবি আদায় না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি আসবে।’উল্লেখ্য, মঙ্গলবার খুবি শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের সময় মোমবাতি প্রজ্বলন করেন।
(ঢাকা টাইমস/১০জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন