মাদারীপুরের সাবেক এসপি সুব্রতসহ ৫ জনের বিরুদ্ধ আদালতে দুদকের চার্জশিট
কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) সুব্রত কুমার হালদারসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার চার্জশিটটি গ্রহণ করেছেন মাদারীপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের সেশন সহকারী।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম চার্জশিটটি দাখিল করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ জুলাই মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) সুব্রত কুমার হালদারসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দুদক। মামলার এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে কনস্টেবল নিয়োগে এক কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। মাদারীপুরের সাবেক এসপি সুব্রত কুমার হালদার (বর্তমানে পলাতক), কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত ও পলাতক) মো. নুরুজ্জামান সুমন, কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট পিয়াস বালা এবং মাদারীপুরের সাবেক টিএসআই (টাউন সাব-ইন্সপেক্টর) গোলাম রহমানকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
২০১৯ সালে মাদারীপুর জেলা থেকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে লোকবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন মাদারীপুর জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার। যাদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছে তাদের পরীক্ষার খাতায় বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। সেই সব খাতায় অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করেন এসপি সুব্রত। এই নিয়োগ চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ঘুষ লেনদেনের ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছয়টি ধাপে জব্দ করা হয়। বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে সত্যতা থাকায় আদালতের মাধ্যমে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠায়। দুদকের অনুসন্ধান এবং তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে দুদক এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের তথ্য প্রমাণ পায়। দুদকের এই মামলায় পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, একটি বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজারসহ ৫০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আকতারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ তদন্তের পর সাবেক এসপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/পিএস)
মন্তব্য করুন