কোটা আন্দোলন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদে জরুরি অধিবেশন চায় শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপিতে জরুরি অধিবেশন ডাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে গুলিস্তান ফিরে এসব জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চান বলেও জানান তিনি।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা লিখেছেন, ‘ছাত্রসমাজের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আপনার নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে বাধিত করবেন। মহামান্য, হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবে। ছাত্রসমাজ দীর্ঘদিন যাবৎ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে রাজপথে ঝড়-বৃষ্টি-খরতাপকে উপেক্ষা করে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হোক- তা আমরা কখনোই চাই না। আমরা দ্রুতই পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই।’
শিক্ষার্থীরা লিখেছেন, ‘ছাত্রসমাজ আশা রাখে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে বাধিত করবেন। অন্যথায় ছাত্রসমাজ নিজেদের অধিকার রক্ষায়, বৈষম্যমুক্ত ও মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণে সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে।’
গুলিস্তানে ফিরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করব সরকারের তরফ থেকে, রাষ্ট্রপতির তরফ থেকে এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কী ধরনের বক্তব্য এবং পদক্ষেপ আসতেছে। সেটা পর্যবেক্ষণ করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা ঠিক করব।’
মামলার প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘শাহবাগ থানায় আমাদের নামে যে অজ্ঞাতনামা মামলা করা হয়েছে, আমরা বলেছিলাম যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটি প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা সেটি আরো ২৪ ঘণ্টা বাড়িয়ে দিচ্ছি আজকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি মামলা প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে কিন্তু আমাদের কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোর হবে।’
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয়ে পদযাত্রা নিয়ে গুলিস্তানে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের ১২ জন প্রতিনিধি বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এক দফা দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিটি হলো– সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/এসকে/কেএম)

মন্তব্য করুন