মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশ ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
এসময় পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এতে ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর যান সড়কে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের বুঝিয়ে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনকারীরা কথা না শুনলে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ অবরোধকারীদের ধাওয়া দেয়। এসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা-কর্মীরাও পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। প্রায় আধাঘণ্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আল-আমীন, রফিকুল ইসলাম রফি, মিঠু হোসেন, শহিদুর রহমান, খাদিজা ও রিফাত মুন্সী নামে ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুম বিল্লাহ বলেন, যে করেই হোক কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। এজন্য ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কসহ মাদারীপুরে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আজকে আমাদের ৬-১০ জন শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে আহত করেছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এদিকে আন্দোলনকারীদের বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট আখ্যা দিয়ে তাদের প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবির মাহমুদ তানবীর।
তিনি বলেন, কোনোভাবেই কোটা আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপির আন্দোলনকে সহ্য করা হবে না। আগামীতে বিএনপির এজেন্ট বাস্তবায়নকারীদের মাঠে নামতে দেওয়া হবে না।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন জানমাল রক্ষায় পুলিশ মাঠে রয়েছে। কেউ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে ছাড় দেওয়া হবে না।
(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/পিএস)
মন্তব্য করুন