সৈয়দপুরে ঘরছাড়া জামায়াত-বিএনপির নেতারা, মামলার আসামি আ.লীগ সভাপতির ভাতিজিও
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের অভিযান শুরু হওয়ার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা। আশ্রয় নিয়েছেন অন্যত্র। এদিকে দলীয় কোন্দলের কারণে মামলার আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতির ভাতিজি ও ভাগিনাকেও।
জানা যায়, অভিযান শুরুর পর ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সৈয়দপুর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রুপা বেগমসহ প্রায় ৫০-৫৫ জনকে। এদের মধ্যে ১৫-১৭ জন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও ১২-১৫ জন অরাজনৈতিক ব্যক্তি এবং সাধারণ কর্মজীবী মানুষ। অভিযোগ রয়েছে আসামিদের খুঁজতে গিয়ে তাদের না পেয়ে পরিবারের শিশু ও নারী সদস্যদের আটক করা হয়েছে। যারা আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না বলে দাবি করেছে তাদের পরিবার।
এদিকে দলীয় কোন্দলের কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের ভাতিজি ও ভাগিনার নামও প্রতিপক্ষ গ্রুপ এজাহারে তালিকাভুক্ত করেছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, গত ১০ দিন ধরে জামায়াত-বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে শহরে দেখা যায়নি।
এদিকে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে চরম আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষও। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লোকজন জরুরি কাজ সেরে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। পথচলা বা বাজার করতে এসেও তড়িঘড়ি ফেরার তাগিদ অনুভব করছেন তারা। ফলে দুপুরের পর পরই শহরের প্রাণকেন্দ্র জনশূন্য হয়ে পড়ছে। সন্ধ্যার পর নিস্তব্ধ হয়ে পড়ছে শহর।
ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/পিএস