আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতারই বিজয় হলো

শেষ পর্যন্ত কোনোভাবেই শেখ হাসিনা ঠেকাতে পারলো না তাঁর সরকারের এক নিষ্করুণ পতন। গণ-আন্দোলনের সামনে আত্মসমর্পণ করতেই হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে। শেখ হাসিনার আত্মসমর্পণ এতটাই হৃদয়বিদারক হলো যে- তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও বাংলাদেশে থাকতে পারলেন না। তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হলো। জানা যায়- তিনি তাঁর ছোটো বোন শেখ রেহানাসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়লাভ করেছেন। তাকে বহনকরা হেলিকপ্টারটি যখন আকাশে উড়ে যাচ্ছে সেই দৃশ্যও বিভিন্ন চ্যানেলে দেখেছে সাধারণ মানুষ। শেখ হাসিনার এই দেশত্যাগ এবং আওয়ামী লীগ সরকারের এই করুণ পতন হবে এটা কেউ ভাবতে পারেনি কখনো। দেশ এখন সম্পূর্ণরূপে সেনাবাহিনী গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই সেনাপ্রধান সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন- আন্দোলনকারীদের এখন সম্পূর্ণ শান্ত হতে হবে। আর কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করা যাবে না। তিনি খুব কম সময়ের মধ্যেই একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে খুব কম সময়ের মধ্যেই আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি দেশের সকল শ্রেণির মানুষকে শান্ত থাকতে বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন- ইতোমধ্যেই সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলা হয়েছে। সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ করেছেন সাবাইকে। তিনি দেশের সকল কিছুর দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এই আন্দোলনকালীন যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার হবে বলে সেনাপ্রধান নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তিনি বারবার বলেছেন যে- তিনি সবকিছুর দায়িত্ব নিচ্ছেন। এখন থেকে সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন- আর কোনো সহিংসতা নয়; এখন সবকিছু স্বাভাবিক করতে সকলকে সহায়তা করতে হবে। তিনি এও বলেছেন- এখন আর কোনো কারফিউ-এর প্রয়োজন নাই। সবকিছু এখন শান্ত পরিস্থিতির দিকে যাবে। আওয়ামী লীগ বাদে বাকি সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আলোচনা হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে- সবাই শান্ত থাকলে এখন থেকে দেশ অবশ্যই স্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে যাবে। উল্লেখ্য, কোটা-সংস্কার আন্দোলনে যে পরিমাণ ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে বিগত এক মাস ধরে, যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে- এতে করে ব্যাপক প্রাণহানিসহ সরকারি এবং পাবলিক প্রোপার্টিকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবেই পালন করা উচিত ছিল। প্রথম অবস্থায় অবশ্য কোটা-সংস্কারের এই আন্দোলনটি শান্তিপ্রিয়ই ছিল। কিন্তু সরকারের কোনো কোনো মন্ত্রীর কথায় এবং সরকারি দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের বারবার হামলায় সেই শান্তিপ্রিয় কোটা আন্দোলনটিই এক সময় রাজধানীর বাইরে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া এই আন্দোলনটি শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের হাতে থাকেনি। এতে তখন সকল শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করার ফলে আন্দোলন হয়ে ওঠেছিল সকলের। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও এক সময় রাস্তায় নেমে এসেছিল আন্দোলন করতে। অবশ্য স্বার্থেন্বেষী মহল এবং তাদের অনুসারী-অনুগামী দুর্বৃত্তরা এক সময় এই আন্দোলনটি ঘিরে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করলে সবকিছুই তখন সহিংসতার দখলে চলে যায়। মাঝখানে কয়েকদিন পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত কিছুটা ভালো ছিল কিন্তু গত রবিবার থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যখন দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় তখন রাজধানীসহ সারা দেশ আবার চরমভাবে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীর বক্তব্যটি সামনে চলে আসে। সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখতে পাই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বক্তব্যটি ছিল সম্পুর্ণরূপে স্পষ্ট। তারা বলেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পূর্ণই জনগণের বাহিনী। জাতির যেকোনো সমস্যা-সংকটে তারা শেষ পর্যন্ত জনগণের সাথেই থাকবে। আমরাও জানি সেনাবাহিনী দেশের সেবক হয়ে সবসময় কাজ করে থাকে। শেষ পর্যন্ত বর্তমান সংকটেও দেখা গেল সেনাবাহিনী তাদের কথা মতো সঠিক কাজটিই করলো। গণ-আন্দোলনের প্রতি তাদের সর্বাত্মক সমর্থন স্বীকার করে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিটি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নিলো। সেনাপ্রধানের বক্তব্য থেকে দেশের মানুষ সম্পূর্ণ আশ^স্থ হতেও পারলো। এখন দ্রুত দেশের সমস্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সকলের জন্য মঙ্গল।
কোটা-সংস্কার আন্দোলনটি যে গণঅভ্যুত্থান পর্যায়ে এসে ঠেকলো এবং সেটা যে এই পরিমাণ প্রকাণ্ড আন্দোলনে রূপ নেবে সেটা প্রথমে কেউ ধারণা করতে পারেনি। প্রথম অবস্থায় এই আন্দোলনের নেতৃত্বের প্রকৃতিটা মূলত কী ছিল সেটা ঠিক বুঝা যাচ্ছিল না। এই আন্দোলনটা প্রথমে কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল বটে এবং সেটা পুরোপুরিই ছাত্রদের আন্দোলন ছিল। তখন ছাত্রদের এই আন্দোলনটা ছিল একেবারেই শান্তিপূর্ণ। সরকারের উচিত ছিল তখন যাতে ছাত্ররা সন্তুষ্ট হয়, দেশবাসী যাতে সন্তুষ্ট হয় সেইভাবে তাদের সাথে একটা সমঝোতায় পৌঁছানো দরকার ছিল। ছাত্রদের দাবিটা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিদের জন্য যেন কোটা কিছুটা কমানো হয়। তখন শান্তিপূর্ণভাবেই এগুচ্ছিল ছাত্রদের এই কোটা-সংস্কার আন্দোলনটি। একটা পর্যায়ে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উস্কানিমূলক একটা বক্তব্য দিলো, তারপর থেকে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে ওঠলো। তিনি বললেন যে- এইসব আন্দোলন ঠেকানোর জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। এরপর আমরা দেখলাম- ছাত্রদের ন্যায়সংগত আন্দোলনে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করছে, পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, টিয়ার্শেল নিক্ষেপ করেছে। এভাবেই একটি শান্তিপূর্ণ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়কেন্দ্রিক আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার ফরাফল আজকের এই গণঅভ্যুত্থান। আসলে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী কোনো আন্দোলনের মীমাংসায় কোনো নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক নেতা কিংবা কোনো রাজনৈতিক দল কখনোই পাওয়া যায়নি। কোটা-সংস্কার আন্দোলনে এই কথাটি প্রমাণিত হলো। শেখ হাসিনা ছাত্রদের হৃদয়ের দাবিটি উপেক্ষা করে তার নিজের ও তাঁর সরকারের জন্য চূড়ান্ত পতন ডেকে আনলো।
আমরা দেখেছি- ১৯৭২ সাল থেকে রাজনীতি বিরাজনীতিকরণের দিকে চলে গেছে। তখন ঢাকার পত্রিকাগুলোতে এই বিরাজনীতিকরণ শব্দের বিভিন্ন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ প্রকাশ হতে দেখি। এই শব্দগুলো খুব ব্যবহৃত হয়েছে কারণ রাজনীতি তখন ঐ দিকেই মোড় নিচ্ছে। এরপর আশির দশকে এসে রাজনীতিতে বিরাজনীতিকরণের বৈশিষ্ট্যটি খুব বেশি চোখে পড়ে আমাদের। এতে প্রথমেই ধাক্কাটা আসে নির্বাচন কমিশনের ওপর। আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশনের ওপর সব দলের এক রকমভাবে পূর্ণ আস্থা স্থাপন করতে পারেনি কেউ। একদলের সরকার পরিচালনার সময়ে যে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা পায়, দেখা গেল সেটার প্রতি অন্য দলগুলোর কোনো আস্থা নাই। রাজনীতি নিয়ে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- আশির দশকেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামজোটগুলো রাজনীতির ক্ষেত্রে বিরাজনীতিকরণের দিকে চলে গিয়েছে। আশির দশক শেষ হওয়ার পরে নব্বইয়ের শুরুতে যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসলো তখন আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপির অভিযোগ তুললো এবং এরপর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসলো তখন বিএনপি ভোট কারচুপির অভিযোগ তুললো। সব দোষ গিয়ে পড়লো নির্বাচন কমিশনের ওপর। আস্থার দিক দিয়ে এভাবেই পর্যায়ক্রমে নির্বাচন কমিশন সংকটের মধ্যে পড়ে। এভাবেই পরস্পরবিরোধী অভিযোগ ও দোষারূপের মধ্যে দিয়ে আমাদের দেশের রাজনীতি বিরাজনীতিকরণের পথ ধরে হেঁটে চলেছে। কোথায় গিয়ে এর শেষ হবে তা কেউ জানে না। আজকে যে ছাত্রদের এতবড়ো একটা আন্দোলন হয়ে গেল দেশে এবং এর মধ্যে যে সহিংস ঘটনাগুলো ঘটলো- এগুলো সেই বিরাজনীতিকরণের পথ ধরে হাঁটা বৈশিষ্ট্য ছাড়া আর কিছু না। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতারই জয় হলো একটি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কিন্তু এজন্য প্রচুর মূল্য চুকাতে হলো জাতিকে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে এবং প্রচুর সংখ্যক মানুষ মারা গেছে। এর পিছনে কারা সহিংসতা করেছে? আওয়ামী লীগ বলছে এর পেছনে জামায়াত-বিএনপি রয়েছে। কিন্তু দেশের সব মানুষই সমানভাবে এটা মনে করে না। এখানে আমজনতার সমান অংশগ্রহণ যে ছিল এটা সত্য। এই সত্যকে অস্বীকার করা যায় না। আসলে রাজনীতিটা রাজনীতির জায়গায় নাই বলেই অনেককিছু ঘটে যেতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটি কি খুব স্বচ্ছ ধারণা ছিল? নির্দলীয়, নিরপেক্ষ কিছু লোক যারা রাজনীতির বাইরে অবস্থান করে; সেরকম কিছু লোক দ্বারা অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করে তাদের নেতৃত্বে নির্বাচন করতে হবে। এটা কি খুব স্বচ্ছ ধারণা? মোটেও তা নয়। মূলত দরকার রাজনীতির ত্রুটিবিচ্যুতিগুলো দূর করে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। আর এর জন্য নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
কোটা-সংস্কার নামে আন্দোলনটি তার রূপ পাল্টে ফেলে শেষ পর্যন্ত গণ আন্দোলনে রূপ নেয়। এই আন্দোলন এখন দিন বদলের আন্দোলন বলতে হবে। কেননা, সরকার উৎখাতের আন্দোলন হিসেবে এটার ইতিহাস হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। তবে এই আন্দোলনে প্রচুর ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। কোনো কাল্পনিক সূত্র ধরে নয়, বাস্তবিকভাবে এসব ধ্বংসযজ্ঞ কারা করেছে তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় আনতে হবে। সেনাপ্রধান অবশ্য তাঁর বক্তব্যে বলেছেন তিনি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করার ব্যবস্থা করবেন।
আন্দোলনের প্রথম দিকে যে শান্তিপূর্ণ অবস্থাটা ছিল সেটা শেখ হাসিনা তাঁর অদূরদর্শিতার জন্য নষ্ট করে ফেলেছেন। যে আন্দোলনটা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যেত সেটা তিনি তাঁর সর্বশক্তি দিয়েও শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। শেষে তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। টানা পনেরো বছর দেশ শাসন করে একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একজন সরকারপ্রধানকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়- এটা খুবই দুঃখজনক। এটাকে আমি রাজনীতির ক্ষেত্রে তাঁর খুবই অদূরদর্শিতা বলবো। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে জনসমর্থন থাকাটা খুবই অপরিহার্য। বলার অপেক্ষা রাখে না যে- শেষের দিকে এসে শেখ হাসিনার জনসমর্থন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছিল। সদ্য শেষ হওয়া এই আন্দোলনটি যেহেতু শেষ পর্যন্ত কোটা-সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ছিল না, এটি সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত সরকারের পতনই হয়ে ছাড়লো। তবে যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামেই সহিংস ঘটনা ঘটে থাকে- এতে প্রচুর জানামলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে- যা দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এটা কখনোই কাম্য নয়।
কোটা-সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা গত এক মাস ধরে যে আন্দোলন করেছে, দেখা গেছে- তারা ঘন ঘন তাদের দাবি পরিবর্তন করে একদফা দাবিতে গিয়ে এক সময় থিতু হয়েছে। সেটা হলো সরকারের পতন। সেই পতন হতে বেশি দেরি হয়নি। একদফা দাবির তিনদিনের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটে গেল। শেখ হাসিনা শেষের দিকে এসে যতটুকু নমনীয় হয়েছিল তার শতকরা পাঁচ ভাগও যদি আগে হতো তাহলে এই সরকারের পতন হতো না। এটা সকলের জন্য ইতিহাসের শিক্ষা। অতিরিক্ত ক্ষমতার ব্যবহার ভালো না, সেটাই প্রমাণ হলো। ছাত্র কিংবা গণমানুষের ন্যায়সংগত দাবিকে আমলে নিতে হয়, তার গুরুত্ব দিতে হয়।আবুল কাশেম ফজলুল হক: সাবেক অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং লেখক ও কলামিস্ট

মন্তব্য করুন