লক্ষ্মীপুরে তাহেরপুত্র টিপুকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম কোটা সমন্বয়কদের
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলি করে ৪জন ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
টিপু জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও আলোচিত সাবেক মেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের মেজো ছেলে। একই সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া, কলেজ ছাত্রলীগের সেক্রেটারি সেবাব নেওয়াজকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। এতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র অন্দোলনের লক্ষ্মীপুরের প্রধান সমন্বয়ক এনামুল হক, সমন্বয়ক আবদুর রহিম আসাদ, ইমাম মোহাম্মদ রায়হান, নাসিরুজ্জামান, আফিয়া ইভনান।
লক্ষ্মীপুরের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনরত সকল ছাত্র -জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সমন্বয়কেরা জানান, গত একমাস ধরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলায় তারা শান্তিপূর্ণভাবে কোটা বিরোধী আন্দোলন করে আসছেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, রবিবার বৈষম্য বিরোধী মিছিলে উপজেলা চেয়ারম্যান যুবলীগের নেতা একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু গুলি বর্ষণ করে আন্দোলনরত ৪ শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সেবাব নেওয়াজসহ ছাত্রলীগ -যুবলীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে ও পিটুনিতে দুই শতাধিকেরও বেশি আন্দোলনকারী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব অভিযোগে সালাহ উদ্দিন টিপুকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া এবং কলেজ ছাত্রলীগের সেক্রেটারি সেবাব নেওয়াজকে গ্রেপ্তার করতে হবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে ছাত্রলীগকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এসময় তারা জেলা আন্দোলনে অংশ নেওয়া শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও কৃষক শ্রমিক আমজনতার যারা আন্দোলনে নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলায় আন্দোলনে যে শিক্ষার্থীরা শহীদ হয়েছে, তাদের প্রত্যেক পরিবারের একজন করে সরকারি চাকুরি নিশ্চিত করাসহ প্রত্যেক ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ গঠন করার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলন থেকে লক্ষ্মীপুর ঝুমুর চত্বরের নাম পরিবর্তন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র চত্বর ঘোষণা করা হয়।
লক্ষ্মীপুরের সমন্বয়কেরা আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লেও আন্তর্জাতিক আদালতে তার ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/পিএস