বগুড়ায় মাঠে নেই ট্র্যাফিক পুলিশ, যানজট নিরসনে কাজ করছে ছাত্র-জনতা

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর দুর্বৃত্তরা বগুড়ার সদর থানা, সদর ফাঁড়ি ও ট্র্যাফিক পুলিশ অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে জনবহুল সাতমাথা এলাকায় কোনো পুলিশ বা ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে যানজট নিরসনে মাঠে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থী ও জনতা।
সরেজমিন শহরের সাতমাথা, থানা মোড় ও বড়গোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে অনভিজ্ঞতার কারণে স্বাভাবিকভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে পারছেন না তারা। যানবাহন চালকেরা ট্র্যাফিক আইন অমান্য করে বিশৃঙ্খলা করতে দেখা গেছে।
সকাল ১০টার থেকে শহরের যানজট নিরসনে লাঠি হাতে কাজ করছেন বগুড়া আজিজুল হক কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইফতেখার নূর প্রীতম।
তিনি বলেন, গতকাল আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আজকে আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করছি। গতকাল বগুড়াতে অনেক ধরণের সহিংস ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর সাথে আমাদের শিক্ষার্থী ভাইরা কেউ জড়িত ছিল না। পুলিশ ভাইরা আজ মাঠে নেই তাই আমরা ছাত্ররা মিলে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে শহরের ভেতরে যানজট নিরসনের চেষ্টা করছি।
আব্দুল মোমিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি সকাল সাড়ে ১০টায় সাতমাথায় এসেছেন। নিউ মার্কেটে যাবেন। এসে কোনো ট্র্যাফিক পুলিশ দেখতে পাননি। তবে ছাত্ররা লাঠি হাতে শহরের যান চলাচলে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এ সময় তারা হিমশিম খেতে দেখেছেন বলে জানান তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে শহর থেকে সব পুলিশ সদস্যদের বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানেত বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসানকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকাটাইমস/০৬আগস্ট/পিএস

মন্তব্য করুন