চলতি অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কত জানালেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ ধরা হয়েছে।”
রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ১৪৬তম বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের ৫৯তম পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এখন অবস্থার প্রেক্ষিতটা পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে এবার রপ্তানি আয় আগের থেকে কমবে না, বরং বেশি হবে। আমেরিকাও সবদিক থেকে ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে।”
এই অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “রপ্তানি নিয়ে কিছু কিছু তথ্যগত ইস্যু ছিল। আমরা এগুলো নিয়ে আলাপ করেছি। যারা তথ্য সংগ্রহ করে, আমরা সবগুলো চালু রাখব। আমরা সবগুলো সমন্বয় করে সত্য চিত্র দেবো। একেকজন একেক রকম তথ্য দেবে, সেটা হবে না। কিছুটা পার্থক্য থাকে, এটা স্বীকার করতে হবে।”
বিরাট অসঙ্গতি দূর করা হবে বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। বলেন, “রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা হবে যুক্তিসঙ্গত। বিভিন্ন কম্পোনেন্ট আছে রপ্তানির; এগুলো দেখব। বিভিন্ন পণ্য আছে এগুলো দেখব। আর রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে; রেগুলেটরি, ট্যাক্স-সংক্রান্ত সেগুলো আমরা রিভিউ করব। রপ্তানি যেন ডাইভারসিফাইড (বহুমুখীকরণ) করা হয়, সেটা আমাদের লক্ষ্য।”
রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রজেকশন কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা রিয়েলাইজড করেছি, এটা (রপ্তানি প্রবৃদ্ধি) মোটামুটি ভালো হবে। অবস্থার প্রেক্ষিতটা চেঞ্জ হয়েছে, অতএব আগের থেকে কমবে না, বেশি হবে।”
এসময় আমেরিকায় জিএসপি সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “ জিএসপি সুবিধার জন্য ইতোমধ্যে তাদের বলা হয়েছে। আমরা আবার চেষ্টা করব।”
“আমেরিকা ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে সবদিক থেকে। অতএব জিএসপিটা পজেটিভ। আমরা অন্যদের সঙ্গে আলাপ করছি রপ্তানির বিষয়ে।” বলেন, সালেহউদ্দিন।
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কতো হতে পারে- সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে সাহেলউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এবার রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।”
(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/এফএ)