টাইফুন ‘ইয়াগি’র আঘাতের পর বন্যা-ভূমিধসে বিপর্যস্ত ভিয়েতনাম, নিহত ১৯৭
শক্তিশালী টাইফুন ‘ইয়াগি’র আঘাতের পরে ভিয়েতনামে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও ১২৫ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের ভিএনইএক্সপ্রেস সংবাদপত্র জানিয়েছে, কয়েক দশকের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন— ইয়াগির আঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯৭ জন মারা গেছে এবং ৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এছাড়া ১২৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
প্রতিবেনে বলা হয়, গত শনিবার ঘণ্টায় ২০৩ কিলোমিটার বেগে ভিয়েতনামের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়ে টাইফুনটি। সোমবার থেকে ইয়াগি শক্তি হারানো শুরু করলেও ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকে। ব্যাপক বর্ষণের জেরে রাজধানী হ্যানয়ের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া রেড রিভারসহ দেশের বিভিন্ন নদীর পানি রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে হ্যানয়সহ বিভিন্ন প্রদেশে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে এবং ভূমিধস শুরু হয়েছে।
দেশটির উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছে, বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে চীন সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লাও কাই প্রদেশের ল্যাং নু শহরে। মঙ্গলবার শহরটির একটি পুরো গ্রাম আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে ইয়াগির আঘাতে হ্যানয়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কয়েকশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ফলে বেশ কিছু এলাকায় ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে টাইফুন ইয়াগির মতো ঝড় শক্তিশালী হচ্ছে। কারণ সমুদ্রের উষ্ণ জল এসব ঘূর্ণিঝড়ে শক্তি সরবরাহ করে, যার ফলে উচ্চ বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত হয়।
সূত্র: এপি
(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/এমআর)